Senior Citizen Scheme: বয়স যতই হোক, পোষ্ট অফিসের এই দুর্দান্ত স্কিমে মিলবে সর্বাধিক ৮.২ শতাংশ সুদ
কর্মজীবনে মানুষ পরিশ্রম করে রোজগার করে। কিন্তু কর্মজীবনের পর আসে অবসর জীবন। বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে কমে আসে শরীরের কর্মক্ষমতা। তাই সেই সময় কাজকর্ম থেকে বিরতি নিতে হয় কমবেশি সকলকেই। কিন্তু কাজ বন্ধ মানেই তো রোজগার বন্ধ। অথচ বয়স বাড়লে খরচও কিন্তু বেড়ে যায়। এমন বয়সে যাতে কোনো অসুবিধা না হয়, তার জন্য কর্মজীবনে বিনিয়োগ করা ভীষণ জরুরি। তাই এই বিষয়টি সম্পর্কে কেউ কেউ অবগত হলেও অনেকেই বিষয়টি নিয়ে ভাবেন না তেমন।
কর্মজীবনে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে একাধিক অপশন রয়েছে আপনার সামনে। কিন্তু আপনি কোথায়, কেমন, কতদিনের জন্য, কত টাকা বিনিয়োগ করবেন, তা সম্পূর্ণ আপনার উপর নির্ভর করে। তবে ঝুঁকি নস নিয়ে যারা বিনিয়োগ করতে চান, তারা পোস্ট অফিসকেই ভালো বিকল্প হিসেবে বেছে নেন এককথায়। আর আপনিও যদি পোস্ট অফিস স্কিমে বিনিয়োগ করার পরিকল্পনা করেন তবে আপনার জন্য একটি দুর্দান্ত খবর রয়েছে। এখন আর বৃদ্ধ বয়সে কারো ওপর নির্ভর করতে হবে না। আপনি সঠিক উপায়ে পোস্ট অফিসে আপনার রোজগারের টাকা বিনিয়োগ করে নিশ্চিত রিটার্ন পাবেন।
পোস্ট অফিসের স্কিমগুলির মধ্যে অন্যতম হল, ‘সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিম’ (SCSS)। এই স্কিমের অধীনে, আপনি ২ লক্ষ টাকা অবধি সুদ পাবেন। এটি কেন্দ্রীয় সরকারের অন্যতম সেরা প্রকল্প। এতে একসাথে টাকা জমা করলে বিনিয়োগকারীরা ৮.২ শতাংশ হারে সুদ পাবেন। ৬০ বছরের বেশি বয়সীরা সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিমে অর্থ বিনিয়োগ করতে পারেন। এর সাথে যারা VRS নিয়েছেন তারাও এর সুবিধা নিতে পারবেন।
উদাহরণস্বরূপ, এই স্কিমে আপনি যদি একবারে ৫ লক্ষ টাকা জমা করেন, তাহলে আপনি প্রতি তিন মাসে ১০,২৫০ টাকা সুদ পাবেন। এ ছাড়া বার্ষিক ভিত্তিতে ২ লক্ষ ৫ হাজার টাকার সুদ পাওয়া যাবে। আপনি যেকোনো পোস্ট অফিস বা সরকারি ব্যাঙ্ক বা বেসরকারি ব্যাঙ্কে এই অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন। এই অ্যাকাউন্ট খুলতে আপনাকে একটি ফর্ম পূরণ করতে হবে। এছাড়াও আপনার ২ টি পাসপোর্ট সাইজের ছবি, যেকোনো বৈধ পরিচয় প্রমাণপত্রের কপি এবং অন্যান্য KYC নথিপত্র ফর্মের সাথে জমা দিতে হবে। এতে আপনি সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে এই সুদের টাকা পাবেন।