পাখার স্পিড কমে গেলে কয়েক মিনিটেই বাড়িয়ে ফেলুন এই তিন ঘরোয়া উপায়ে
বিগত মার্চ মাস থেকেই তীব্র গরমে পুড়েছে গুপ্তা বাংলা। দক্ষিণবঙ্গে হাঁসফাঁস পরিস্থিতি ছিল বিগত প্রায় সাড়ে তিন মাস ধরে। পশ্চিমের জেলাগুলিতে তীব্র তাপপ্রবাহ চলেছিল এপ্রিল ও মে মাসে। কলকাতায় তাপমাত্রা ছাড়িয়ে গিয়েছিল ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের গন্ডি। এমনকি এই তাপপ্রবাহের রেশ ছুঁয়েছিল উত্তরবঙ্গের মাটিও। দার্জিলিং, জলপাইগুড়িতেও গরম অনুভূত হয়েছিল ওই দুমাস।
এখন বর্ষা এলেও গরমের দাপাদাপি কিন্তু রয়েই গেছে দক্ষিণবঙ্গে। আর এই গরমকে মোকাবিলা করার জন্য মধ্যবিত্ত থেকে শুরু করে কমবেশি সকলের ভরসা হল ফ্যান। সিলিং ফ্যান ও টেবিল ফ্যানের ব্যবহার মোটামুটি সব বাড়তেই হওয়ার থাকে। এখন এই গরমে যদি ফ্যানের গতি কমে যায়, তাহলে সমস্যা বাড়বে বই কমবে না। কিন্তু ফ্যানের গতি ঠিক রাখা যায় তিনটি বিষয়ে নজর রাখলেই। সেই বিষয়গুলি দেখে নিন বিস্তারিতভাবে।
■ ক্যাপাসিটর পরিবর্তন: একটি ইলেক্টটিক ফ্যান ঘোরার জন্য মূল যে যন্ত্রটি কাজ করে তা হল ক্যাপাসিটর। অনেকে এটিকে ‘কনডেন্সর’ও বলে থাকেন, তবে সেটি এর আসল নাম নয়। এবার আপনার ফ্যানের গতি কমে গেলেই এই ক্যাপাসিটর পরিবর্তন করতে হয় শুরুতেই। কারণ বেশিরভাগ ক্যাপাসিটর একবছর অবধি ভালো স্পিড বজায় রাখতে পারে। তাই প্রতিবছর ফ্যানের ক্যাপাসিটর বদলানো ভালো।
■ নাট-বোল্ট টাইট রাখা: অনেকসময় দীর্ঘদিন ঘোরার ফলে ফ্যানের বডির অনেক নাট-বোল্ট আলগা হয়ে যায়। আর সেই কারণে ফ্যানের গতি কমে যেতে পারে। তাই ফ্যানের গতি কম মনে হলে দেখে নিতে হবে যে ফ্যানের নাট-বোল্ট টাইট রয়েছে কিনা। না থাকলে টাইট করে নিতে হবে।
■ ফ্যান সার্ভিসিং করা: সার্ভিসিংয়ের অভাবে ফ্যানের গতি কমে যেতে পারে। অনেকসময় ফ্যানের ভেতরে থাকা গ্রিজ শুকিয়ে যায়। সেই কারণে ফ্যান ধীর গতিতে ঘুরতে পারে। তাই প্রতিবছর ফ্যানের সার্ভিসিং করানো উচিত।