Income Tax: পেনশন পেলেও দিতে হবে ইনকাম ট্যাক্স, নাহলেই পড়তে হবে সমস্যায়
চাকরি বা ব্যবসা না করলেও প্রত্যেকেরই একজন দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে আয়কর রিটার্ন দাখিল করা উচিত। শুধু তাই নয়, এই কাজটি করা মহিলাদের জন্য একটি লাভজনক কাজ হতে পারে। শুধুমাত্র যারা ঘরের কাজ করেন না, তারা নয়, গৃহবধূরাও আয়কর দাখিল করলে অনেক সুবিধা পেয়ে যাবেন। আর সেটি করে ফেললেই একাধিক ক্ষেত্রে যেমন রয়েছে কর ছাড়ের সুবিধা, তেমনভাবে অনেক আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রেও মিলবে অনেক সুবিধা। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের জন্য আয়কর রিটার্ন দাখিলের শেষ তারিখ দ্রুত এগিয়ে আসছে। আয়কর বিভাগ এই কাজটি করে ফেলার জন্য ৩১ শে জুলাই তারিখটিকে শেষ তারিখ হিসেবে নির্ধারণ করেছে।
তবে দেশের প্রবীণ নাগরিকদের জন্যও কি আয়কর ফাইল করা জরুরি? এই প্রশ্ন রয়েছে অনেকের মনেই। আর এই বিষয়টি নিয়েই এই প্রতিবেদনে আলোচনা হবে। অর্থমন্ত্রকের ঘোষণা অনুযায়ী, গত আর্থিক বছর পর্যন্ত যাদের বয়স ৬০ বছর বা তার বেশি বা ৮০ বছরের কম, তাদের মধ্যে যারা বেতনভোগী এবং পেনশনভোগী, তাদেরকে বাধ্যতামূলকভাবে তাদের আয়কর রিটার্ন ফাইল করতে হবে।
এই বিষয়টি পরিষ্কার করার জন্য, অর্থবর্ষ ২০২১-২২-এর কেন্দ্রীয় বাজেটে, সরকার আয়কর আইন, 1961-এ একটি নতুন ধারা যুক্ত করেছে। এই ধারা অনুযায়ী, ৭৫ বছরের বেশি বয়সী নাগরিকদের আয়কর রিটার্ন ফাইল করতে হবে না যদি তারা নির্দিষ্ট মানদণ্ড পূরণ করে। এই আইন অনুযায়ী, প্রবীণ নাগরিক হল সেই সমস্ত ব্যক্তি যাদের বয়স গত আর্থিক বছর পর্যন্ত ৬০ বছর বা তার বেশি বা ৮০ বছরের কম। ৬০ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীদের জন্য মৌলিক কর ছাড়ের সীমা হল ৩ লক্ষ টাকা। খুব প্রবীণ নাগরিকদের ক্ষেত্রে ছাড়ের সীমা ৫ লক্ষ টাকা।
এছাড়াও, সরকারি কর্মচারীদের জন্য, EPF থেকে প্রাপ্ত টাকা হল করমুক্ত। EPF বেসরকারী কর্মচারীদের জন্য কর ছাড় দেয়, তবে শুধুমাত্র যদি ৫ বছর একটানা পরিষেবার পরে প্রত্যাহার করা হয়। এছাড়াও, পরিবার পেনশন ভারতে করযোগ্য। এটি ‘অন্যান্য উৎস থেকে আয়’ শিরোনামে কর দেওয়া হয়। এতে ৩৩.৩৩% বা ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত ছাড় পাওয়া যায়।