ITR Return: ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন ফাইল করলে বাড়তি কি সুবিধা পাওয়া যায় জেনে নিন
বেসরকারি ফার্মে চাকরি, বার্ষিক আয় সর্বসাকুল্যে ওই ২ লাখের থেকে একটু বেশি। এরপরেও ট্যাক্স দিতে হয়, এমনকি রিটার্ন ফাইলও করতে হয়। তাছাড়া, রিটার্ন ফাইল করতেই হবে কারণ, স্ল্যাব শূন্য যেখানে, সেখানে নিজের অর্জিত অর্থ ফেরত নিতেই হবে। আজকের প্রতিবেদনে আমরা আলোচনা করবো, স্ল্যাব শূন্য হওয়ার পরেও কেন ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন ফাইল করবো? এর কি আদৌ কোনো সুবিধা আছে? চলুন জানি বিস্তারিত (Benefits of Filing Income Tax Return)।
জেনে নেব আইটিআর ফাইল কারা করেন? যারা ব্যবসায়ী ও চাকুরীজীবী তারাই মূলত আইটিআর ফাইল করেন। এটা হল ট্যাক্স প্রদান করা। যা উপার্জন হচ্ছে, সেই অঙ্ক একটি নির্দিষ্ট সীমা পার করলে সরকারকে ট্যাক্স দিতে হয় বা কর দিতে হয়। এদিকে, চলতি বছরের ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে বেতনভুক কর্মচারীদের আয়কর রির্টার্ন জমা করার নির্দেশ দিয়েছে সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ডায়রেক্ট ট্যাক্স।
২০২৩ এর নিয়ম অনুযায়ী, যাদের বার্ষিক উপার্জন ৩ লাখ পর্যন্ত, তাদের ট্যাক্স স্ল্যাব শূন্য। এদিকে বার্ষিক ইনকাম ২ লাখের থেকে সামান্য বেশি বা কম। এরপরেও ট্যাক্স দিতে হবে? উত্তর হল হ্যাঁ দিতে হবে। এবং সময়মতো ট্যাক্স রিটার্ন ফাইল করে নিতে হবে। এতে আপনি পাবেন বাড়তি সুবিধা।
ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন ফাইল করলে পার্সোনাল লোন পাওয়া সহজ হয়ে যায়। এমনিতেই সাধারণ নাগরিকদের লোন পেতে খুবই সমস্যা হয়। সহজে লোন পাওয়া যায় না। এক্ষেত্রে ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন ফাইল থাকলে লোন পেতে সহজ যেমন হয়, তেমন নতুন ব্যবসা শুরু করার সময় এই ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন ফাইল অনেক কাজে আসে। সরকারি কোনো বিভাগের সঙ্গে চুক্তি করতে চাইলে বিগত ৫ বছরের আইটিআর প্রয়োজন হয়। এছাড়াও, বীমা করার সময় বেশি কভার যুক্ত বীমা পলিসি করতে চান, সেক্ষেত্রে ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন ফাইল চাওয়া হয় অনেক সময়। তাই, যাই ইনকাম করুন না কেন, শুধু মাত্র ভবিষ্যতের কথা ভেবে ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন ফাইল বানিয়ে নেওয়া আবশ্যক।