Khela Hobe Scheme: মমতার ‘খেলা হবে’ প্রকল্পে মিলবে একাধিক সুবিধা, অবশেষে এসে গেল বড়সড় আপডেট
কয়েকদিন আগেই একুশে জুলাইয়ে রাজ্যের শাসক দলের শহীদ দিবস পালন করা মিয়ে রাজ্যজুড়ে হয়েছিল রাজনৈতিক তর্জা। শাসক-বিরোধী কুটকাচালির মাঝেই এই সভার মঞ্চে বক্তব্য রেখেছেন তৃণমূলের একের পর এক তাবড় তাবড় নেতারা। আর এই সভামঞ্চ থেকেই একাধিক বিষয়ে ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সেই ঘোষণার মধ্যে অন্যতম হল ‘খেলা হবে’ প্রকল্প (Khela Hobe Scheme)। এদিন কেন্দ্রের ১০০ দিনের কাজের পাল্টা প্রকল্প ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরেই বাংলার শাসক দলের নেতাদের মূল্যে সোনা গেছে একশো দিনের কাজের টাকা নিয়ে কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগের বুলি। কেন্দ্র নাকি ইচ্ছে করেই বাংলার এই প্রকল্পের টাকা আটকে দিয়েছে, এমন অভিযোগ খোদ মুখ্যমন্ত্রীকেও করতে সোনা গেছে একাধিকবার। আর সেই কারণেই কেন্দ্রের এই প্রকল্পের পাল্টা একটি প্রকল্পের ঘোষণা করে মুখ্যমন্ত্রী। যে ‘খেলা হবে’ শ্লোগানে বাংলায় ঘাসফুল বিপ্লব ঘটিয়েছে তৃণমূল, এবার সেই শ্লোগানকে নিয়েই নতুন প্রকল্প সূচনা ঘটাতে চাইছে রাজ্য।
কিন্তু কিভাবে এই প্রকল্পের লাভ পাবেন রাজ্যবাসী। এই বিষয়ে তেমনভাবে বিস্তারিত তথ্য আমাদের হাতে এসে না পৌঁছালেও, সরকারের ঘোষণা থেকে অনুমান করা যাচ্ছে যে যেভাবে রাজ্য সরকারের অন্যান্য প্রকল্পের সুবিধা দেওয়া হয় দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে, সেভাবেই এই প্রকল্পের জন্যও দুয়ারে সরকার ক্যাম্পকে দায়িত্ব দেওয়া হবে। অর্থাৎ, আগামী দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে এই প্রকল্পের অধীনে নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন রাজ্যের নাগরিকরা। এক্ষেত্রে আবেদনকারী নাগরিককে পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা হলেই চলবে। তবে এই প্রকল্পে কিভাবে কত টাকা বেতন দেওয়া হবে, সেই বিষয়টি এখনও জানা যায়নি।
উল্লেখ্য, রাজ্যের একাধিক প্রকল্প ইতিমধ্যে বন্দিত হয়েছে জাতীয় এমনকি আন্তর্জাতিক মঞ্চেও। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত ‘কন্যাশ্রী’ প্রকল্পকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছে ইউনেস্কো অবধি। এছাড়াও রাজ্যের ‘স্বাস্থ্যসাথী’, ‘খাদ্যসাথী’, ‘সবুজসাথী’, ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’ প্রকল্পগুলিও বেশ প্রশংসা পেয়েছে বিগত সময়।