NPS: আকর্ষণীয় এই স্কিমে প্রতি মাসে ২০০ টাকা দিলেই অবসর জীবনে মিলবে ৫০ হাজার টাকার পেনশন
ভারতের মতো উন্নয়নশীল দেশে অবসরপ্রাপ্ত মানুষদের জন্য পেনশন ব্যবস্থা চালু ছিল একটা দীর্ঘ সময় যাবৎ। সরকারি বা অনেক বেষকরকারী সংস্থায় কর্মরত নাগরিকরা রিটায়ারমেন্ট-এর পরেই ভরণপোষণের জন্য একটি মাসিক ভাতা পেতেন। এই যোজনাকে পেনশন যোজনা বলা হয়। তবে এখন পেনশন ছাড়াও অনেক ধরণের নাগরিক অনেক ধরণের ভাতা পেয়ে থাকেন সরকারের তরফ থেকে। এক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গ সরকার বার্ধক্য ভাতা, বিধবা ভাতা প্রভৃতি দিয়ে থাকেন রাজ্যবাসীকে।
কিন্তু যারা চাকরি করেন না, তাদের অবসর জীবন কিভাবে চলবে? এই বিষয়টি হয়তো অনেকেই ভেবে থাকেন যারা ক্ষুদ্র ব্যবসা ককরে থাকেন। তবে তাদের ক্ষেত্রেও রয়েছে এমন একটি ব্যবস্থা, যা থেকে অবসর জীবনে আপনি মাসিক কিস্তিতে পেতে পারবেন। এর জন্য চালু রয়েছে NPS বা ন্যাশনাল পেনশন সিস্টেম। ২০০৯ সাল থেকে এই স্কিমটি সমস্ত শ্রেণীর মানুষের জন্য চালু করা হয়েছিল। এই পেনশন স্কিমের অধীনে, বিনিয়োগকারীরা ৬০ বছর বয়সের পর মোট জমার পরিমাণের ৬০% তুলতে পারেন এবং অবশিষ্ট ৪০% অর্থ পেনশন স্কিমে যায়। এছাড়াও বিনিয়োগকৃত অর্থের ওপরও কর ছাড় দেওয়া হয় এই স্কিমে। এখন একনজরে দেখে নিন যে কিভাবে এই স্কিমে বিনিয়োগ করতে পারবেন।
এই স্কিমে যেকোনো নাগরিক তার ইচ্ছেমতো বিনিয়োগ করতে পারবেন না। NPS-এ বিনিয়োগের সীমা হল ৬,০০০ টাকা। যদি ন্যূনতম সীমা বিনিয়োগ না করা হয়, তাহলে অ্যাকাউন্টটি ফ্রিজ করা হয় এবং তারপর অ্যাকাউন্টটি ডিফ্রিজ করার জন্য ১০০ টাকা জরিমানাও দিতে হবে। ন্যাশনাল পেনশন সিস্টেমে রেজিস্ট্রেশন করতে, যেকোনো NPS পেনশন ফান্ডের ওয়েবসাইটে গিয়ে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যাচাই করতে হবে। এতে প্যান কার্ড, আধার কার্ড, ঠিকানা প্রমাণ ইত্যাদির মতো কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সম্পর্কিত নথি দিতে হবে।
NPS-এর পেনশনের যোগ্যতা বয়স সীমা ৬০ বছর রাখা হয়েছে। এখানে এই বিওয়টিও খেয়াল রাখা দরকার যে NPS-এ কমপক্ষে ১০ বছর বিনিয়োগ করতে হবে। অর্থাৎ, যে ব্যক্তি ৬০ বছর বয়সে এখানে রেজিস্ট্রেশন করবেন তাকে ৭০ বছর বয়স পর্যন্ত NPS-এ টাকা জমা দিতে হবে। তারপরই তিনি পেনশন পাবেন। এখন, একজন ২৫ বছর বয়সী বিনিয়োগকারী যদি এই পেনশন স্কিমে প্রতিদিন ২০০ টাকা করে জমা দেন তাহলে, ৬০ বছর বয়সে অবসর গ্রহণের সময় হিসাবমতো ঐ ব্যক্তি ৫০ লক্ষ টাকা পাবেন। এর সাথে ৮ শতাংশ গড় বার্ষিক রিটার্ন ধরলে প্রতিমাসে ঐ ব্যক্তি ৫০ হাজার টাকা পাবেন।