রাত ৯ঃ৩০ বাজলে দর্শক রাতের নৈশভোজের সাথে সাথে বোকাবাক্সের সামনে কর্ণ আর রাধিকার প্রেম দেখতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। কেউ কাউকে ছেড়ে কথা বলেনা। দুজন দুজনকে ভালোবাসলেও মুখে তা স্বীকার করতে চায়না। কার কথা বলছি জানেন। বুঝতে পারছেন নিশ্চয়ই। রাত ৯ঃ৩০ মানেই ‘কি করে বলবো তোমায় ‘ধারাবাহিক।
সম্প্রতি পিসি ঠাকুমার প্রবেশ হয়েছিল । আর পিসি ঠাকুমা রাধিকাকে কিভাবে নাকানি চুবানি খাওয়ায় আর কর্ণ তাতে এর প্রতিবাদ করে। অবশ্য কর্ণ ও রাধিকার প্রেমও জমে উঠেছে। আর রাধিকাও নিজের ভালোবাসা আর নিষ্ঠা দিয়ে পিসি ঠাকুমার মন জিতে নিয়েছেন। এদিকে কর্ণর অফিসে নিজের কাজ দিয়ে প্রশংসা কুড়িয়েছেন৷ হাড্ডাহাড্ডি টক্করে কে কাকে বিট করে বেরিয়ে যাচ্ছে তা দেখে বোঝা যাচ্ছে না।সকলের সঙ্গে মাত্র কয়েক পয়েন্টের ব্যবধান। কেউ লড়াইয়ের ময়দান ছাড়বেনা। দীর্ঘদিন পরে টিআরপি-র রেটিং-এর তালিকায় দশম স্থানে থাকলেও আস্তে আস্তে রাধিকা আর কর্ণ নিজের অভিনয়ের আর মানুষের ভালোবাসা কুড়িয়েছেন।
দেখতে দেখতে এই ধারাবাহিক এক বছরে পা দিতে যাবে। আর তাতেই ধারাবাহিকে আসছে অনেক বড় টুইস্ট। দুর্গাপুজোতে বিজয়া দশমীতে ভিলেন জয়ের বিদায় হয়েছিল৷ এরপর রাধিকা কর্ণের দূরত্ব কমতে শুরু করে। পিসি ঠাকুমা গ্রামে ফিরতে গিয়ে বলেছিল পরের বার ফিরলে নাতি পুতির মুখ দেখবে। এরপর রাধিকা বিয়ের আগের মতো হলুদ সালোয়ার পড়ে কর্ণকে নিজেদের পুরোনো দিনের কথা মনে করাবে৷ কর্ণ যখন সব অভিমান মুছে গিয়ে রাধিকার কাছে যাবে তখনই গল্পে আসবে নতুন মোড়।
এই ক্রিস্টমাসে রাধিকার জীবন তছনছ করতে ফের ফিরেছে খলনায়ক জয়। আপকামিং ট্যাক দেখে মনে হচ্ছে, জয় নিজের পুরোনো অপমান ভোলেনি কিছুই। তাই বেশ কিছু দিন গা ঢাকা দেওয়ার পর শক্তি ও বুদ্ধি দুই বাড়িয়ে আরও ভয়ঙ্কর রুপে ফিরেছে। রাধিকার জীবন তছনছ করতে কামব্যাক জয়ের। এরপরই রাধিকাকে কিডন্যাপ করে৷ কর্ণ কি রাধিকাকে উদ্ধার করতে পারবে? এরপর গল্পে কি মোড় আসে তাই দেখার।
View this post on Instagram