উঠতে বসতে মার, বৈশাখীকে দিয়ে নিজের জুতো চাটিয়েছিলেন প্রাক্তন স্বামী!
শোভন চট্টোপাধ্যায় (Sovan Chatterjee) এবং বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Baisakhi Banerjee) প্রেম কাহিনি তো এখন সকলেরই জানা। রাজনৈতিক জগতেও যে এমন মাখোমাখো মিষ্টি ভালোবাসার গল্প বোনা হতে পারে তা শোভন বৈশাখীই প্রথম দেখালেন। কিন্তু বৈশাখীর প্রাক্তন স্বামী মনোজিৎ মণ্ডলের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক কেমন ছিল তা অনেকের কাছেই অজানা। মনোজিতের কাছ থেকে ডিভোর্স নিয়ে এখন শোভন ঘরণী হয়েছেন তিনি। কিন্তু পুরনো সম্পর্কের স্মৃতি এখনো মন থেকে সম্পূর্ণ তাড়াতে পারেননি বৈশাখী। কেমন ছিল সেই দিনগুলো? সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এ বিষয়ে মুখ খোলেন বৈশাখী।
প্রেমের বিয়ে ছিল বৈশাখী মনোজিতের। পরিবারের অমতে এক কাপড়ে মনোজিতের সঙ্গে বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন তিনি, শুধুমাত্র ভালবাসার টানে। কিন্তু তাঁর মোহ ভাঙতে বেশি দেরি হয়নি। অচিরেই ভালবাসার মানুষকে অচেনা একজন পুরুষে বদলে যেতে দেখেছিলেন বৈশাখী। সুখের দাম্পত্য এক নিমেষে বদলে গিয়েছিল ভয়ঙ্কর বদ্ধ এক পরিবেশে। দাম্পত্য সুখ কাকে বলে তা কখনো বোঝেননি বৈশাখী। বরং জেনেছিলেন শারীরিক এবং মানসিক অত্যাচার কেমন হয়।
এক সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে বৈশাখী জানান, মনোজিতের কাছে প্রায় সবসময়ই মার খেতে হত তাঁকে। কিন্তু তিনি প্রতিবাদ করতে পারতেন না। তাঁর সহকর্মীরা রুখে দাঁড়ানোর কথা বললেও সেটা করতে পারতেন না বৈশাখী। কারণ তিনি ভয় পেতেন, বেশি উত্তেজিত হয়ে গেলে যদি মনোজিৎ নিজেই নিজের শরীরের ক্ষতি করে বসেন। তাই নির্বিবাদে মার খেয়ে যেতেন। কিন্তু একদিন এমন একটি ঘটনা ঘটেছিল যা নাড়িয়ে দিয়েছিল বৈশাখীর জীবনকে।
তিনি জানান, মেয়ে মেহুল তাঁদের জীবনে আসার পরেও কোনো পরিবর্তন আসেনি তাঁর স্বামীর মধ্যে। মেয়ে বড় হওয়ার পরেও তার সামনেই স্ত্রীকে মারতেন তিনি। একবার মধ্যরাতে বৈশাখীকে বাড়ি থেকে বের করে দেন মনোজিৎ। স্ত্রীর মিনতির উপরে তাঁর মুখে থুতু ছিটিয়ে দিয়েছিলেন তিনি! শর্ত দিয়েছিলেন, রাতে থাকতে হলে তাঁর জুতো চাটতে হবে বৈশাখীকে! ভীত বৈশাখী বাধ্য হয়ে সেটাই করেছিলেন। পরের দিন বাবা মায়ের কাছে ফিরেও কিছু বলতে পারেননি মুখ ফুটে। তিনি জানান, এসবই জানতেন শোভন। এখন মেয়েকে নিয়ে প্রাক্তন মেয়রের কাছেই থাকেন বৈশাখী। তাঁর সিঁথি সিঁদুরে রাঙিয়ে সম্মান দিয়েছেন শোভন। অন্যদিকে মনোজিতের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে বৈশাখীর।