বাংলা সিনেমা জগতের আরেক প্রতিভাধর ব্যক্তিত্ব হলেন লিলি চক্রবর্তী (Lily Chakravarty)। ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেলও তিনি ভারতীয় এবং টলিউডে অসংখ্য সিনেমা করেছেন। বয়স তাঁর এখন ৮০ ছুঁই ছুঁই। ‘ভানু পেল লটারি’ দিয়ে অভিনয় জীবনের আত্মপ্রকাশ। এরপরে তাঁকে আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি। উত্তম, সৌমিত্র, দীপঙ্কর, প্রসেঞ্জিৎ, এঁদের সকলের সঙ্গে অভিনয় করে গেছেন লিলি চক্রবর্তী।
২০২০ র ‘রক্ত রহস্য’ তেও দেখা গিয়েছে লিলিকে। কিন্তু এই লিলিই কিছুদিন আগে পর্যন্ত বয়স ও পরিবারের স্বাস্থ্যের কথা ভেবে শ্যুটিং সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিয়েছিলেন। এমনিতেই করোনাতে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন শিশুরা আর বয়স্করা। সেহেতু তিনি অভিনয় থেকে দুরেই সরে গিয়েছিলেন। সূত্রের খবর, তাঁর কাছে একদিন এক পরিচালকের ফোন আসে। সেই একটা ফোন কল তাঁকে শ্যুটিং ফ্লোরে আসতে বাধ্য করে।
লকডাউনের আগে ‘বৃদ্ধাশ্রম’-এর শ্যুট চলছিল। ছ’মাসের ছোট সিরিয়াল হিসেবে দেখানো হয়েছিল। কিন্তু সেই সিরিয়াল জনপ্রিয়তা পাওয়ায় তা মেগা সিরিয়াল বানানোর সিদ্ধান্ত নেন পরিচালক। সেরকমই লক ডাউন উঠে যাওয়ার পর পর পরিচালকের দন যায় লিলি চক্রবর্তীর বাড়িতে। সেদিন লিলি জানান করোনার মধ্যে তিনি কোন শ্যুটিং করবেন না। বাড়ি থেকে তিনি পারমিশন পাচ্ছিলেন না।
আচমকা রাজী হয়ে যান লিলি সেদিন। ওইদিনই পরিচালক নাকি তাঁকে বলেছিলেন যে আসলে দিদি, অনেক শিল্পী তো বসে আছেন। মেকআপ ম্যান থেকে আরম্ভ করে টেকনিশিয়ানরা কাজ খুঁজছেন। আমরা এই শ্যুটিংটা শুরু করলে তাঁদের কিছু রোজগার হত। ব্যাস এই কথা শোনা মাত্রই লিলি চক্রবর্তী আর ঘরে বসে থাকতে পারেননি। দেশের মানুষ কত কষ্ট করে রোজগার করে চলেছে এমনকি অনেকের রুটি রুজিতেও টান পড়েছে। এই সব মিলিয়ে তিনি সেদিন শ্যুটিং যান। পরিচালকের অনুরোধ তাঁকে ঘরে বসিয়ে রাখতে পারেনি। করোনা র জন্য সমস্ত নিয়মাবলী মেনেই শ্যুটিং শুরু হয় বৃদ্ধাশ্রম’-এর।