whatsapp channel
Bengali SerialHoop Plus

ছোট্ট বয়সেই বিভীষিকার স্মৃতি, অবশেষে সিরিয়াল ছাড়ার কারণ জানালেন ‘মা’ খ্যাত তিথি

বাংলা সিরিয়ালের ইতিহাসে সবসময় একটা আলাদা জায়গা রাখা থাকবে ‘মা’ সিরিয়ালের জন্য। ২০০৯ সালে প্রথম সম্প্রচারিত হওয়া মেগা সিরিয়ালটিতে ছোট্ট ঝিলিক এর চরিত্রে দেখা গিয়েছিল অভিনেত্রী তিথি বসুকে (Tithi Basu)। তখন অবশ্য শিশুশিল্পী হিসেবে অভিনয় করতেন তিনি। ওই বয়সেই এত সুন্দর অভিনয় করেছিলেন তিনি যে দর্শকরা এখনো মনে রেখে দিয়েছেন তাঁকে। বাংলা সিরিয়ালের জনপ্রিয় শিশুশিল্পীদের একটা তালিকা করা হলে তিথির নাম সেখানে থাকবেই থাকবে।

এখন অবশ্য আর শিশুশিল্পী নেই তিথি। কলেজও পাশ করে গিয়েছেন তিনি। আগের সেই ছোট্ট ঝিলিককে খুঁজতে গেলে এখন হতাশই হতে হবে নেটিজেনদের। সোশ্যাল মিডিয়ায় অত্যন্ত সক্রিয় তিথি এখন রীতিমতো সুন্দরী তরুণী। তাঁর ফ্যাশন দেখলে চোখ কপালে উঠতে বাধ্য। এমনকি তিথির কিছু কিছু ফটোশুট, রিল ভিডিও নিয়ে ট্রোলিংও হয়েছে নেটপাড়ায়। তবে তিথি সেসবে পাত্তা দিতে রাজি নন।

তিথি বসু

কিন্তু মা সিরিয়ালে বিপুল জনপ্রিয়তা পাওয়ার পরেও আর কখনো টেলিভিশনে ফিরলেন না কেন তিথি? তাঁর সহ অভিনেতা অভিনেত্রীরা দিব্যি চালিয়ে যাচ্ছেন অভিনয়। কেউ কেউ বড়পর্দাতেও কাজ করছেন। কিন্তু তিথিকে আর পর্দায় দেখা যায় না কেন? এত বছরেও বা কোনো সিরিয়ালে কাজ করেননি কেন তিনি? এক সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে নিজের ব্যক্তিগত জীবনের উপর থেকে পর্দা সরালেন অভিনেত্রী।

অনেক ছোট বয়সেই জীবনে বড় ঝড়ের সম্মুখীন হয়েছেন তিথি। আইএসসি পরীক্ষার ঠিক আগেই আলাদা হয়ে যান তাঁর বাবা মা। বাবা ছেড়ে চলে যাওয়ায় সংসারের চাপ এসে পড়ে তিথির কাঁধে। ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে বেতনও ছিল বেশি। ওই বয়সেই তিনি অর্থের গুরুত্ব বুঝে গিয়েছিলেন তিনি। পড়াশোনা চালিয়ে যেতে ভুলতে হয় ক্যামেরাকে। ব্যক্তিগত জীবনের বিভীষিকা একাই কাটিয়ে উঠেছিলেন তিনি। এখন আবার ক্যামেরার সামনে ফিরেছেন বটে। তবে সিরিয়ালের শুটিং নয়, নিজের ইউটিউব চ্যানেলের জন্য শুটিং করেন তিথি। তাঁর কথায়, নটা পাঁচটার বাঁধাধরা চাকরির মতো শুটিং করতে পারবেন না তিনি। তাই ভ্লগার হওয়াটাই বেশি পছন্দের তিথির কাছে।

 

View this post on Instagram

 

A post shared by Tithi Basu (@c_h_i_r_p_s)

whatsapp logo

Nirajana Nag

আমি নীরাজনা নাগ। HoopHaap-এর একজন সাংবাদিক। বিগত চার বছর ধরে এই পেশার সঙ্গে যুক্ত রয়েছি। নিজের লেখার মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাঠকদের কাছে পৌঁছে দিতে চাই