পুজোর প্রস্তুতিতে ব্যস্ত তারকা সকলেই। কেউ কেউ এখন থেকেই ছবি বা বিজ্ঞাপন সংক্রান্ত শুটিং সেরে রাখছেন। কারণ বছরের অনন্য অন্যান্য সময় স্টুডিও পাড়া জমজমাট থাকলেও পুজোর সময়টায় সবারই থাকে ছুটি। কীভাবে এই সময়টা করে লাগান শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় (Srabanti Chatterjee)? কোথাও ঘুরতে যাচ্ছেন এবারের পুজোয়? সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে খোলামেলা পুজোর আড্ডা দিলেন টলি কুইন।
শ্রাবন্তীর কথায়, তাঁর পুজো ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। আসলে গত বছর থেকে বাড়িতে গণেশ পুজো শুরু করেছেন অভিনেত্রী। এবারের মূর্তিও আরেকটু বড় এনেছিলেন। পুজোর সময় গমগম করেছে তাঁর বাড়ি। সেই সঙ্গে দুর্গা পুজোরও একটা আমেজ তৈরি হয়ে গিয়েছে। এখন থেকেই বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে ঘুরতে যাওয়াদ্দ পরিকল্পনা শুরু করে দিয়েছেন শ্রাবন্তী।
তবে তিনি জানান, পুজোর সময়টা কলকাতাতেই থাকতে পছন্দ করেন তিনি। এবারের পুজোতেও শহরেই থাকার পরিকল্পনা তাঁর। তবে শ্রাবন্তী এও জানান, তিনি ঘুরতে গেলে হুট করেই সব ঠিক করে বেরিয়ে পড়েন। তাই আগে থেকে কিছুই বলা সম্ভব নয়। কথায় কথায় ছোটবেলার পুজোর স্মৃতিও ভাগ করে নিলেন শ্রাবন্তী।
বেহালার মেয়ে তিনি। ছোটবেলায় বাবা মায়ের হাত ধরে লাইন দিয়ে ঠাকুর দেখতেন। এখন তিনি নিজেই তারকা। পান ভিআইপি পাস। এখনো কি ঠাকুর দেখতে বেরোন শ্রাবন্তী? অভিনেত্রীর অকপটে উত্তর, এখনো তিনি এসব কাজ করতে ভালোবাসেন। পাড়ার মোড়ে দাঁড়িয়ে ফুচকা খাওয়া, পুজোর সময়েও ঠাকুর দেখতে বেরোন অভিনেত্রী। আর পুজো প্রেম? যাঁর প্রেম জীবন নিয়ে এত মানুষের আগ্রহ সেই শ্রাবন্তী জানান, পুজোর গন্ধটাই তাঁর কাছে প্রেমের মতো। এই সময়টায় সবকিছু যেন ভালো লাগে। বিশেষ করে মহালয়ার সকাল টায় মন খুশি খুশি হয়ে যায় শ্রাবন্তীর। প্রসঙ্গত, শ্রাবন্তী কে শেষবার দেখা গিয়েছিল কাবেরী অন্তর্ধান ছবিতে। আগামীতে জিতু কামালের বিপরীতে একটি ছবিতে অভিনয় করছেন তিনি। পাশাপাশি ‘সাদা রঙের পৃথিবী এবং ‘দেবী চৌধুরানী’ উপন্যাস অবলম্বনে একটি ছবিতেও দেখা যাবে শ্রাবন্তীকে।
View this post on Instagram