Ration Card: ৩ মাস বিনামূল্যে রেশন বিলি করবে কেন্দ্র সরকার, উৎসবের মরশুমে হল বড় ঘোষণা
দেশে খাদ্যাভাব দূর করতে রেশন ব্যবস্থার সূচনা ঘটে স্বাধীনতার পরেই। আর রেশন কার্ড রয়েছে এমন প্রত্যেক ব্যক্তি মাসে মাসে সরকারের পক্ষ থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ খাদ্যশস্য পেয়ে থাকেন। কোনো কোনো নাগরিক কম দামে কিনতে পারেন রেশন, আবার কাউকে বিনামূল্যে রেশন দিয়ে থাকে সরকার। দেশের রেশন ব্যবস্থা চালু রাখতে বেশ কিছু অনুমোদিত দোকান থেকে এই রেশন প্রদান করা হয় গ্রাহকদের। লাইনে দাঁড়িয়ে কিংবা কার্ড জমা দিয়ে রেশনের সামগ্রী সংগ্রহ করতে হয় নাগরিকদের।
এক্ষেত্রে কার্ড অনুযায়ী নির্ধারিত খাদ্য সামগ্রী দেওয়া হয় স্থানীয় রেশন শপ থেকে। তবে সবার ক্ষেত্রে সমান খাদ্যদ্রব্য বণ্টন করা হয় না। কোন গ্রাহক কত পরিমানে খাদ্য শস্য পাবেন তা ঠিক হবে তাঁর রেশন কার্ডের উপর। অগ্রাধিকার প্রাপ্ত রেশনকার্ড (PHH) থাকলে পরিবারের প্রত্যেক সদস্যের মাথাপিছু ৩ কেজি চাল, ১ কেজি ৯০০ গ্রাম আটা অথবা ২ কেজি গম পাওয়া যায়। অন্যদিকে বিশেষ অগ্রাধিকার প্রাপ্ত রেশন কার্ডেও (SPHH) সমান খাদ্যশস্য পাওয়া যায়। অর্থাৎ, এক্ষেত্রেও পরিবারের প্রত্যেক সদস্যের মাথাপিছু ৩ কেজি চাল, ১ কেজি ৯০০ গ্রাম আটা অথবা ২ কেজি গম পাওয়া যায়।
এছাড়াও অন্ত্যোদয় অন্নযোজনা রেশন কার্ড (AAY) হল কেন্দ্র সরকার প্রদত্ত রেশন কার্ডের বিশেষ ক্যাটাগরি। অতি দরিদ্র নাগরিকদের এই ক্যাটাগরিতে এনে একটু বেশিই সুবিধা দেয় সরকার। এক্ষেত্রে প্রতিটি পরিবার ১৩ কেজি ৩০০ গ্রাম আটা অথবা গম নিতে পারেন। সাথে ১৩ টাকা ৫০ পয়সা কেজি দরে ১ কেজি চিনি পাওয়া যায়। এছাড়াও ২১ কেজি চাল দেওয়া হয় এই কার্ডের অন্তর্ভুক্ত পরিবারকে। এদিকে রাজ্যের প্রদত্ত RKSY1 রেশনকার্ড থেকে শুধুমাত্র মাথাপিছু ৫ কেজি করে চাল দেওয়া হয়। এছাড়াও RKSY2 রেশনকার্ড থাকলে কেবল ২ কেজি করে চাল দিয়ে থাকে সরকার।
তবে করোনাকালীন সময়ে কেন্দ্র সরকারের তরফে দেশরর খাদ্যাভাব দূর করতে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেয়া মোদি সরকার। ২০২০ সালে দ্বিগুন রেশন সামগ্রী বিনামূল্যে দেওয়া শুরু করে কেন্দ্র। আর সেই থেকেই এই বিষয়টিকে বর্ধিত করে আসছে কেন্দ্র। আর ফের একবার এই সুবিধার বর্ধিতকরণের ঘোষণা করেছে সরকার। জানা গেছে, আরো ৩ মাস মিলবে এই সুবিধা। অর্থাৎ ডিসেম্বর অবধি নাগরিকরা এই সুবিধা পেতে চলেছেন।