শিল্পীর অমরত্ব ঘটে তাঁর শিল্পের মাধ্যমে। কিন্তু তবুও তাঁর নশ্বর শরীর পঞ্চভুতে বিলীন হওয়ার ঘটনা বড্ড অবিশ্বাস্য লাগে শিল্পীর অনুরাগীদের কাছে। 2022 সালের 6 ই ফেব্রুয়ারি ছিল এমনই এক অভিশপ্ত দিন। দীর্ঘ রোগভোগের পর প্রয়াত হয়েছিলেন কিংবদন্তী লতা মঙ্গেশকর (Lata Mangeshkar)। মুম্বইয়ের শিবাজী পার্ক মহাশ্মশানে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছিল। সুরসম্রাজ্ঞীকে একটিবার চোখের দেখা দেখতে এসেছিলেন হাজার হাজার মানুষ। ছিলেন তাবড় সেলিব্রিটিরাও। লতার মৃত্যুর পর আশা ভোঁসলে (Asha Bhonsle) ইন্সটাগ্রামে তাঁদের শৈশবের ছবি শেয়ার করে ভেসেছিলেন নস্টালজিয়ায়। কিন্তু তখনও জানা যায়নি লতার চমকপ্রদ উইলের কথা। তা সামনে এল সুরসম্রাজ্ঞীর প্রয়াণের দেড় বছর পর।
মৃত্যুর আগে লতার একটি অন্তিম ইচ্ছা ছিল যা উইলের আকারে প্রকাশ করেছিলেন তিনি। তাঁর মৃত্যুর দেড় বছর পর লতার উইল মেনে তাঁর শেষ ইচ্ছা পূরণ করলেন লতার ছোট বোন ঊষা মঙ্গেশকর (Usha Mangeshkar)। লতা ঈশ্বরে বিশ্বাস করতেন। তাঁর জীবনযাপনের অনেকাংশ জুড়ে ছিল আধ্যাত্মিকতা। একাধিক ভাষায় ভক্তিগীতি গেয়েছেন লতা। এর মধ্যে হিন্দি, মারাঠি ছাড়াও রয়েছে তামিল, তেলেগু, বাংলা। তবে ব্যক্তিগত ভাবে লতা ছিল ভেঙ্কটেশ্বরের ভক্ত। তিরুপতির প্রতি ছিল তাঁর গভীর অনুরাগ। তিরুপতি ট্রাস্টি বোর্ডের সাথে বরাবর যোগাযোগ ছিল শিল্পীর।
তিরুমালা তিরুপতি দেবস্থানমের জন্য প্রায় দশটি সংকীর্তন গেয়েছেন লতা। তাঁর ইচ্ছা ছিল তিরুপতি মন্দিরের ট্রাস্টি বোর্ডে তিনি কিছু অর্থ দান করবেন। নিজের উইলে তা লিখেছিলেন লতা। তাঁর শেষ ইচ্ছাকে মর্যাদা দিয়ে লতার ছোট বোন ঊষা দশ লক্ষ টাকার একটি চেক তুলে দেন তিরুপতি মন্দিরের উচ্চপদস্থ আধিকারিক ও চেয়ারম্যানের হাতে।
লতা চলে গিয়েছেন না ফেরার দেশে। রেখে গিয়েছেন বহু স্মৃতি। নশ্বর শরীরে না থেকেও আজও তিনিই বিরাজমান ভারতের সুরের সিংহাসনে।
View this post on Instagram