Govt Scheme For Widow: বিধবা মহিলাদের অ্যাকাউন্টে মাসে ঢুকবে ২৫০০ টাকা, এইভাবে করুন আবেদন
ভারতে বয়স্ক মানুষদের জন্য পেনশন ব্যবস্থা চালু ছিল একটা দীর্ঘ সময় যাবৎ। সরকারি বা অনেক বেষকরকারী সংস্থায় কর্মরত নাগরিকরা রিটায়ারমেন্ট-এর পরেই ভরণপোষণের জন্য একটি মাসিক ভাতা পেতেন। এই যোজনকে পেনশন যোজনা বলা হয়। তবে এখন পেনশন ছাড়াও অনেক ধরণের নাগরিক অনেক ধরণের ভাতা পেয়ে থাকেন সরকারের তরফ থেকে। এক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গ সরকার বার্ধক্য ভাতা, বিধবা ভাতা প্রভৃতি দিয়ে থাকেন রাজ্যবাসীকে। তবে এবার বিধবাদের আর্থিক দিকটি সুনিশ্চিত করতে এক অভিনব উদ্যোগ নিল একটি রাজ্যের সরকার।
বর্তমানে আমাদের দেশে বিধবা বিবাহ চালু থাকলেও অনেকেই সেই পথ মাড়াতে চান না। অনেক মহিলার স্বামী অল্প বয়সে কোনো রোগাক্রান্ত হয়ে বা দুর্ঘটনার কবলে পড়ে মারা গেলেও তার সেই স্মৃতি ছেড়ে বেরিয়ে এসে দ্বিতীয় বিয়ের বিষয়ে অনেকেই ভাবতে পারেন না। তবে বৈধব্য জীবন কিন্তু মোটেই সহজ নয়। নানা সমস্যার মধ্যে এই জীবনের এক অন্যতম সমস্যা হল আর্থিক স্বাবলম্বিতা। কারণ ভারতের অনেক মহিলা এখনো কোনো নির্দিষ্ট চাকরি করেন না। তা স্বামীর মৃত্যুর পর নিজের জীবনধারণ করাটাই অনেকের কাছে দুরূহ হয়ে ওঠে।
তবে এবার দিল্লি সরকার এই বিষয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে। জানা গেছে, দিল্লিতে এবার থেকে বিধবাদের একটি বিশেষ ভাতা দেওয়া হবে। আর এই ভাতা প্রতিমাসে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। জানা গেছে, এই ভাতার মাধ্যমে প্রতিমাসে বিধবা মহিলাদের ২৫০০ টাকা করে দেওয়া হবে। অর্থাৎ এবার থেকে স্বামীহীন মহিলাদের আর্থিক দিকটি স্বচ্ছল করে তোলার জন্যই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে এই ভাতা পাওয়ার জন্য যোগ্য হতে হলে কিছু মানদণ্ড রেখে সরকার। সেগুলি পূরণ হলে তবেই মিলবে এই ভাতা।
এই ভাতা পাওয়ার জন্য সেই বিধবা মহিলাকে আবশ্যিকভাবে দিল্লির স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে। এছাড়াও আবেদিনকারী মহিলার বয়স হতে হবে ১৮ বছর থেকে ৫৯ বছরের মধ্যে। এছাড়াও আবেদনকারী মহিলার বার্ষিক রোজগার ১ লক্ষ টাকার কম হতে হবে। এই মানদণ্ডগুলি পূরণ হলেই অনলাইনে আবেদন করতে হবে এই ভাতার জন্য। আবেদনের সময় আবশ্যিক নথি হিসেবে জমা দিতে হবে বাসস্থানের শংসাপত্র, আয়ের শংসাপত্র, স্বামীর মৃত্যুর শংসাপত্র, ব্যাঙ্কের পাসবুক, বিপিএল রেশন কার্ড, আধার কার্ড ও পাসপোর্ট সাইজের ছবি।