Hoop NewsHoop Trending

রেশন দুর্নীতিতে গ্রেপ্তার হলেও বন রক্ষায় চূড়ান্ত সফল জ্যোতিপ্রিয়! গ্রেপ্তারীর পরেই প্রকাশিত চমকপ্রদ রিপোর্ট

বৃহস্পতিবার ভোর রাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন রাজ্যের বন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে। তাকে রেশন দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার করে ইডি। বৃহস্পতিবার সমাল থেকেই তার সল্টলেকের একজোড়া বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে ইডি অফিসাররা। বাড়িতে বসিয়ে মন্ত্রীকে জেরা করেন ইডির দুঁদে গোয়েন্দারা। টানা ২১ ঘন্টার ম্যারাথন জেরার পর নেওয়া হয় গ্রেপ্তারীর সিদ্ধান্ত। ইডি সূত্রে জানা গেছে, বয়ানে অসঙ্গতি সহ একাধিক অভিযোগে প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী ও বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে গ্রেফতার করা হয়।

আর এই বোন মন্ত্রীর গ্রেপ্তারীর ঘটনাকে ঘিরে যখন তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি, সেই পরিস্থিতিতে বন দফতরের সাফল্যকে সামনে তুলে ধরা হল। মঙ্গলবার বোন দফতরের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেল থেকে পশ্চিমবঙ্গ বোন দফতরের সাফল্য পোস্ট করা হয়। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের মন্ত্রিত্বের সময়কাল অর্থাৎ ২০১১ সালের পর থেকে এই রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়। আর এই রিপোর্টে জঙ্গলমহল থেকে পাহাড়, বব জায়গায় বোন দফতরের কাজের খতিয়ান তুলে ধরা হয়। ঠিক কি কি কাজ হয়েছে বন দফতরের তরফে, দেখে নিন পরবর্তী অনুচ্ছেদে।

সাফল্যের এই রিপোর্টে বলা হয়েছে যে ২০১৩ সাল থেকে রাজ্যে জঙ্গলের পরিমান বৃদ্ধি পেয়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। ২০১৩ সালে যা ৪.৫৬ শতাংশ, তা বর্তমানে বেড়ে ৫.২৮ শতাংশ হয়েছে। এছাড়াও এই সময়কালে ‘পশ্চিম সুন্দরবন বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য’ এবং ‘পাখিবিতান’ নামের একজোড়া অভয়ারণ্য তৈরি করে হয়েছে। পাশাপাশি, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া এবং কোচবিহার জেলায় পাঁচটি সংরক্ষিত এলাকা তৈরি করা হয়েছে এই সময়কালে। এছাড়াও, বিগত পাঁচ বছরে মোট ৫০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে বন্যপ্রাণী দ্বারা রাজ্যের ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে।

পাশাপাশি, পশুদের হিসেব দেখিয়ে সেখানেও সাফল্যকে তুলে ধরা হয়েছে। এক্ষেত্রে উল্লেখ্য, ভারতীয় একশৃঙ্গ গন্ডারের সংখ্যা যেখানে ২০১১ সালে ১৮৪টি, সেখানে ২০২২ সালে তা বেড়ে হয়েছে ৩৪৩টি। পাশাপাশি, বাঘের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১০১ এবং হাতির সংখ্যা বেড়ে ৬৮২ হয়েছে। এছাড়াও, রেডিও-কলারিং এবং কৃত্রিম উপগ্রহের সাহায্যে সুন্দরবনের বাঘ এবং নদীচরের কচ্ছপ, উত্তরবঙ্গের চিতাবাঘ এবং শকুন, দার্জিলিং-এর পাহাড়ের রেডপান্ডা এবং উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের হাতিদের পর্যবেক্ষনের মাধ্যমে বৈজ্ঞানিক গবেষণা শুরু করা হয়েছে।

Related Articles