Business Idea: এই ব্যবসায় লাভ হবে লাখ লাখ টাকা, মেশিন কিনতে ভর্তুকি দিচ্ছে সরকার
সময়ের সঙ্গে মানুষের জীবনে অনেক পরিবর্তন ঘটেছে। বিগত পাঁচ বছর আগের থেকে এখন মানুষের জীবনধারা অনেক বেশি বদলে গিয়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে সাংসারিক খরচও। বলা বাহুল্য, এখন একটি ‘মাইক্রো-ফ্যামিলি’তেও একজনের উপার্জনে সংসার চলে না। তাই পরিবারের একজন চাকরি করলেও তিনি আবার অন্য উপার্জনের পথ খুঁজতে থাকেন। আর এই কারণেই বাড়ির মধ্যে বসেই ছোটখাটো ব্যবসা শুরুর কথা ভাবছেন অনেকেই। অনেকে যদিও এই ধরণের ব্যবসা শুরুও করে দিয়েছেন ইতিমধ্যে।
কিন্তু ব্যবসা শুরুর কথা ভাবা আর ব্যবসা শুরু করার মধ্যে একটা বিস্তর ফারাক রয়েছে। কারণ একটি ব্যবসা শুরু করতে গেলে অনেকগুলি বিষয় আগে থেকে ভেবে রাখতে হয়। ব্যবসা শুরু করতে গেলে মূলধন থেকে কাঁচামালের যোগান এমনকি দ্রব্যের বিক্রয়স্থল খুঁজতে হিমসিম খেয়ে যান অনেকেই। তবে এই প্রতিবেদনে আপনার জন্য এমন একটি ব্যবসার সন্ধান রয়েছে যা থেকে আপনি ভালো মুনাফা অর্জন করতে পারবেন। বিশেষ করে গ্রামের নাগরিকদের জন্য এই ব্যবসা আরো বেশি লাভজনক।
আর এই লাভজনক ব্যবসাটি হল পশুখাদ্যের ব্যবসা। এখন বর্তমানে গ্রামগঞ্জের অনেকেই পশুপালনের ব্যবসা করে থাকেন। তাই তাদের বিপুল পরিমাণ পশুখাদ্যের প্রয়োজন হয়। এবার তাদের সঙ্গে একটি মধ্যস্থতা করতে পারলেই এই ব্যবসা চলবে ব্যাপকভাবে। বাড়ির মধ্যে মকধ্যে ছোট পরিসরে এই ব্যবসা করতে পারেন, অথবা বড় পরিসরে এই ব্যবসা করা যায়। তবে যেভাবেই করুন না কেন এই ব্যবসা শুরুর আগে সরকারের তরফে রেজিস্ট্রেশন বা লাইসেন্স জোগাড় করে নিতে হবে।
এবার আসি এই ব্যবসার আয় ও ব্যয়ের হুসেব প্রসঙ্গে। এই ব্যবসা শুরু করতে হলে তার জন্য মেশিন কিনতে হবে। আর এই পশুখাদ্য তৈরির মেশিনের মূল্য ৫ লক্ষ টাকা থেকে ৭ লক্ষ টাকা হয়ে থাকে। এছাড়াও পরিবহন, বিদ্যুৎ, প্যাকেজিং ও বাজারজাতকরণেও খরচ মিলিয়ে মোট ১০ থেকে ২০ লক্ষ টাকা খরচ করে পশুখাদ্য তৈরির একটি ইউনিট স্থাপন করা যাবে। এক্ষেত্রে এইসব মেশিনারি কিনতে ৩৫ শতাংশ ভর্তুকি দেয় কেন্দ্র সরকার। এছাড়াও এই ব্যবসায় নামার আগে মুদ্রা লোনের জন্য আবেদন করলেও মিলবে ১০ লক্ষ টাকা।