চলতি বছর পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে ‘মহানায়ক’ সম্মানে ভূষিত হয়েছেন অঙ্কুশ হাজরা (Ankush Hazra)। কিন্তু সচরাচর তাঁকে কোনো রাজনৈতিক মঞ্চে দেখা যায় না। ইদানিং কালে বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির অধিকাংশ তারকা রাজনীতিতে যোগ দিয়েছেন। সংখ্যাটা শাসক দলের দিকেই ভারি। অনেকে সাংসদ হয়েছেন ভোটে জিতে, অনেকে হয়েছেন বিধায়ক। কিন্তু অঙ্কুশকে কোনো শিবিরেই দেখা যায়নি। সম্প্রতি এই প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন অভিনেতা।
অঙ্কুশ একটি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, তাঁর রাজনীতিতে আসার সম্ভাবনা নেই। কারণ তিনি যে দলে গিয়েই যোগ দিন না কেন, সেই দল আগামী ছয় মাসের মধ্যেই তাড়িয়ে দেবে তাঁকে। এর মূল কারণ হল অঙ্কুশ স্বাধীনচেতা। তিনি নিজের মতো করেই চলতে চান। নিজের উপর কাউকে দালালি মারতে দিতে চান না অঙ্কুশ। এমনকি কখনও যদি কোনো অন্যায় দেখতে পান এবং তাতে যদি তাঁর দলীয় কর্মীও যুক্ত থাকেন, তাহলেও অঙ্কুশ দূর্নীতি ফাঁস করে দেবেন। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই দল থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হবে তাঁকে। ফলে অঙ্কুশ চান না, রাজনীতিতে তাঁকে নিয়ে আসার জন্য টানাটানি হোক। এছাড়াও অঙ্কুশ স্বীকার করলেন, তিনি রাজনীতি বোঝেন না। দুটি রাজনৈতিক শিবিরের সাথেই তাঁর সম্পর্ক যথেষ্ট ভালো।
অঙ্কুশ সকলের সাথেই কথা বলেন, সকলের পুজোয় যান। করোনা পরিস্থিতি ও আমফানের সময় বিভিন্ন স্থানে আর্থিক সাহায্য করলেও তাঁকে কোনো ফাইলে সই করতে হয়নি। এই স্বাধীনতা উপভোগ করেন অঙ্কুশ। এমনকি তিনি জানেন না, সাংসদ, বিধায়করা কত বেতন পান! কিন্তু তাঁরা বিনামূল্যে প্রচুর সুবিধা উপভোগ করেন।
অঙ্কুশ যখন প্রথম ইন্ডাস্ট্রিতে এসেছিলেন, তখন তিনি মাত্র ছাব্বিশ-সাতাশ হাজার টাকা রোজগার করতেন। ফলে তাঁর কাছে বেতন ও বিধায়ক অথবা সাংসদ হয়ে বিনামূল্যের সুবিধা যথেষ্ট। তবে কোনো দূর্নীতি সহ্য করবেন না তিনি।
View this post on Instagram