Diwali: দীপাবলিতে প্রদীপ জ্বালানোর সময়ে করুন এই সামান্য উপচার, সমৃদ্ধিতে ভরবে সংসার
আর দুটো দিন পরেই দীপাবলি (Diwali)। কালীপুজোর পাশাপাশি এদিন আলোর উৎসবও বটে। প্রতিটা পাড়া, শহরের আনাচ কানাচ সেজে ওঠে আলোর মালায়। প্রতিটি বাড়িতেই প্রদীপ জ্বালানোর রীতি রয়েছে দীপাবলিতে। বাঙালি রীতিতে ভূত চতুর্দশীর দিনই পূর্বপুরুষদের উদ্দেশে চোদ্দ প্রদীপ জ্বালানো হয় বাড়িতে। বাড়ির প্রতিটি কোনায় অন্ধকার দূর করে প্রদীপের আলো। নেতিবাচকতাকে দূর করে ইতিবাচক শুভ শক্তিকে আকর্ষণ করে প্রদীপের শিখা। তবে অনেকেই জানেন না, প্রদীপ জ্বালানোরও কিছু নিয়ম রয়েছে। দীপাবলির দিন প্রদীপ জ্বালানোর সময়ে এই নিয়মগুলি মানলে জীবনে সুখ, সমৃদ্ধির আগমন হয়।
শাস্ত্রেও প্রদীপ জ্বালানোর কিছু নিয়ম রয়েছে। পণ্ডিতদের মতে, দীপাবলির দিন নিয়ম মেনে প্রদীপ জ্বালালে এই আলো সব অন্ধকার দূর করে জীবনে ইতিবাচক শক্তিকে ডেকে আনে। বলা হয়েছে, প্রদীপ জ্বালানোর আগে নিয়ম রীতি মেনে মা লক্ষ্মীর পুজো করা উচিত। সব সময় প্রদীপ জ্বালানোর সময়ে পূর্ব দিকে মুখ করে জ্বালানো উচিত। প্রথমে প্রদীপটি ঈশ্বরের উদ্দেশে নিবেদন করে তারপরে অন্য জায়গায় রাখা উচিত বলে মত পণ্ডিতদের।
জ্যোতিষ মতে মানা হয়, বাড়ির পূর্ব দিকে প্রদীপ দিলে ঘরে ঈশ্বরের বাসের অনুকূল পরিবেশ তৈরি হয়। নেতিবাচকতা দূর হয়ে ইতিবাচক শক্তির আগমন হয়। এই দিকে প্রদীপ জ্বালালে মা লক্ষ্মীর কৃপা দৃষ্টি পড়ে সংসারের উপরে। ফলে সৌভাগ্য বজায় থাকে পরিবারের সদস্যদের।
প্রদীপ জ্বালানোর সময়ে আরেকটি নিয়ম মানতে হবে। মাটিতে কয়েকটি চাল রেখে তার উপরে প্রদীপ রেখে জ্বালানোর নিদান নেন পণ্ডিতরা। এই নিয়ম মানলে সমস্ত বাধা দূর হয়ে সুখ, সমৃদ্ধিতে ভরে ওঠে জীবন। শত্রুর ভয় দূর করে প্রদীপের আলো। জীবনে চলার পথে বিপত্তি দূর হয়। তাই দীপাবলির দিন এই নিয়ম মেনে প্রদীপ জ্বালাতে বলেন বিশেষজ্ঞরা।
Disclaimer: বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ এবং মতামতের ভিত্তিতে লেখা হয়েছে প্রতিবেদনটি। ব্যক্তিবিশেষে এর ফল হতে পারে ভিন্ন।