Hoop Life

Skin Care: খসবে না কোনো টাকা, বাড়িতেই বানিয়ে মেখে ফেলুন অ্যালোভেরা নাইট ক্রিম, ফল পাবেন হাতেনাতে

আমরা প্রত্যেকেই চাই আমাদের ত্বক একেবারে দাগ মুক্ত হয়ে যাক। কিন্তু তা একেবারে সম্ভব হয় না, তার জন্য আমরা বাজারচলতি অনেক নামিদামি ক্রিম কিনে মুখে লাগাই। তাতে হয়তো সাময়িকভাবে মুখের দাগ চলে যায়, আপনি কি জানেন খুব কম টাকা খরচা করে রান্নাঘরে থাকা মাত্র কয়েকটা জিনিস দিয়েই আপনি আপনার ত্বক একেবারে সুন্দর করে ফেলতে পারবেন, বাড়িতেই তৈরি করে ফেলুন অসাধারণ নাইট ক্রিম, জেনে নিন সহজ টিপস। Hoophaap এর পাতায় দেখে নিন অসাধারণ টিপস –

প্রথমে নিতে হবে, তিন টেবিল-চামচ গোবিন্দভোগ চাল, খুব ভালো করে ঠান্ডা পরিষ্কার জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এরপর ওই তিন টেবিল-চামচ গোবিন্দভোগ চাল দিয়ে এক কাপ জলের মধ্যে সারা রাত ভিজিয়ে রাখতে হবে। এরপরই জল শুদ্ধ চালকে খুব ভালো করে অন্তত ১০ মিনিটের জন্য ফুটিয়ে নিন। দেখবেন, সুন্দরভাবে এই ভাত হয়ে যাবে। ভাতের ফ্যান শুদ্ধ দিয়ে দেখবেন, সুন্দর একটা ঘন পেস্ট তৈরি হয়েছে, এরপর কোন কাপড় বা ছাঁকনি দিয়ে ছেঁকে নিন। এর মধ্যে এক টেবিল চামচ ভিটামিন ই অয়েল, এক টেবিল-চামচ নারকেল তেল, ১ টেবিল চামচ লেবুর রস, দুই থেকে তিন টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেল খুব ভালো করে মিশিয়ে নিন।

এখন মিশ্রনটিকে খুব ভালো করে মিশিয়ে নেওয়ার পরে একসঙ্গে চার টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে নিন। এখন খুব ভালো করে মিশ্রণটি মিশিয়ে ফ্রিজে অন্ততপক্ষে সাত দিন রেখে দিতে পারেন। এটি রোজ রাতে শুতে যাওয়ার সময় মুখে ভালো করে মালিশ করে শুয়ে পড়ুন। দেখবেন, কিছুদিন পর থেকে তখন উজ্জ্বল হয়ে গেছে। তখন মুখে থাকা কালো দাগ একেবারে দূর হয়ে গেছে, যাদের এতে সমস্যা হয়, ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। তারা এই ক্রিমটি প্রতিদিন ব্যবহার করতে পারেন, এতে একেবারে চামড়া দেখবেন, টান টান সুন্দর নরম মোলায়েম থাকবে।

এই নাইট ক্রিম ব্যবহারের উপকারিতা –

ত্বকের ওপরে হওয়া কালো দাগ দূর হয়ে যাবে – ত্বকের উপরে হওয়া কালো দাগ যদি দূর করতে চান, তাহলে অবশ্যই এই নাইট ক্রিমটি প্রতিদিন রাতে শোওয়ার সময় লাগিয়ে শুয়ে পড়ুন।

অকাল বার্ধক্য দূর করতে সাহায্য করে- যদি অকালবার্ধক্য  দূর করতে চান, তাহলে প্রতিদিন রাতে শুতে যাওয়ার সময় এই ক্রিম ব্যবহার করবেন। এই ক্রিম ব্যবহার করলে, আপনি আর বেশি বয়সও অল্প বয়সীদের মতন দেখাবেন।

সতর্কীকরণ- উপরে উল্লেখিত কোনো উপাদানে অ্যালার্জি থাকলে ব্যবহারের আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এছাড়াও কোনো রকম সমস্যা এড়াতে আগে চিকিৎসকের সঙ্গে অবশ্যই কথা বলুন।

Related Articles