Tanjin Tisha: সাইবার বুলিং-এর শিকার তানজিন তিশা
মাত্র কয়েক দিন আগেই বাংলাদেশের মিডিয়া সরগরম হয়েছিল তানজিন তিশার (Tanjin Tisha)-র আত্মহত্যার চেষ্টার খবরে। কিন্তু পরে তিশা সোশ্যাল মিডিয়া লাইভে এসে জানান, তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক হওয়ার কারণে তিশা মানসিক ও শারীরিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন। ঘুম আসছিল না তাঁর। ফলে তিশা কড়া ডোজের ঘুমের ওষুধ খেয়েছিলেন। কিন্তু এরপরেই বাড়ে শারীরিক অস্বস্তি। দ্রুত তিশাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে পরের দিন তাঁকে ডিসচার্জ করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এর মধ্যেই তিশা জানিয়েছিলেন, তাঁর আশেপাশের কিছু মানুষ তিশার ক্ষতি করার চেষ্টা করছেন। তবে খুব শীঘ্রই তিশা তাঁদের মুখোশ খুলে দেবেন।
কিন্তু তিশার কথা অনেকেই বিশ্বাস করেননি। ফলে রীতিমত তাঁকে সমালোচিত হতে হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সাইবার বুলিং-এর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে 20 শে নভেম্বর, সোমবার বিকাল সওয়া চারটে নাগাদ তিশা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ কার্যালয়ে যান। তিশা জানান, ডিবি অফিসের প্রতি তাঁর যথেষ্ট আস্থা রয়েছে। বাংলাদেশের শোবিজ ইন্ডাস্ট্রিতে সাইবার বুলিং-এর শিকার হলে ডিবি কার্যালয়ে এসে সকলে হারুন (Harun) স্যারের সাহায্য নেন বলে জানালেন তিশা। অনুরাগীদের কাছে তিশা কৃতজ্ঞ। কারণ তাঁরাই তিশাকে তারকা বানিয়েছেন। কিন্তু গত কয়েক দিন ধরে ক্রমাগত সাইবার বুলিং-এর শিকার হচ্ছেন তিশা। ফেসবুক স্টেটাসের মাধ্যমে কোনো বিষয় স্পষ্ট করতে চাইলেও তাঁকে সমালোচিত হতে হচ্ছে বলে জানালেন অভিনেত্রী। এই কারণেই তিশা ডিবি কার্যালয়ে এসে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন।
এদিন ডিবি কার্যালয় থেকে সন্ধ্যায় বেরিয়ে মিডিয়ার সম্মুখীন হন তিশা। তিনি জানান, ডিবি কার্যালয়ের মাধ্যমে তাঁর সমস্যার সমাধান হলে তবেই সংবাদমাধ্যমে বিষয়টি স্পষ্ট করতে পারবেন তিনি।
নিজের আত্মহত্যা গুজব প্রসঙ্গে তিশা জানিয়েছেন, গত দুই বছর আগে তাঁর বাবা প্রয়াত হয়েছেন। কিন্তু তিনি তিশাকে যথেষ্ট শক্তিশালী বানিয়েছেন। ফলে আত্মহত্যার চেষ্টা করার কথা ভাবেন না তিশা।