ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে ভরপুর এই বাংলা শর্টফিল্ম, বাচ্চাদের সামনে দেখলে চরম কেস খাবেন
2018 সালের 6 ই অক্টোবর ‘ডাকবাক্সের গল্প’ নামে একটি ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড হয়েছিল ‘পিৎজা c/o পেঁয়াজি’ নামে একটি বাংলা শর্ট ফিল্ম। এই শর্ট ফিল্মটি পরিচালনা করেছেন তন্ময় বোস (Tanmay Bose) ও অরুণিমা স্যান্যাল (Arunim Shanyal)। শর্ট ফিল্মের মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন অর্চিতা রায় (Archita Roy), আয়ুশ মজুমদার (Ayush Mazumdar), আকাশ দাস (Akash Das), প্রিয়া দাস (Priya Das), পৃথ্বীশ হালদার (Prithwish Halder), মিতালি জোয়ারদার (Mitali Joardar), অরুণিমা স্যান্যাল, আহেলি মন্ডল (Aheli Mondal), শুভদীপ চক্রবর্তী (Subhadip Chakraborty), কুহেলি জোয়ারদার (Kuheli Joardar)।
‘পিৎজা c/o পেঁয়াজি’ -র শুরুতেই দেখা যায়, এক যুবক ডাইনিং টেবিলে বসে মদ্যপান করছে। তার মোবাইলে মেসেজ আসে। কিন্তু সে মেসেজ দেখেও উত্তর না দিয়ে মোবাইল রেখে দেয়। একসময় একটি মেয়ে ঘরে ঢোকে। সে দেখে, সারা ঘর অগোছালো হয়ে রয়েছে। তা দেখে রেগে ওঠে মেয়েটি। সে জিজ্ঞাসা করে, কে এই ঘটনা ঘটিয়েছে! ছেলেটি তার প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে কটাক্ষ করে বলে, ইদানিং নন্দনের হাওয়ার তুলনায় ক্যাফের হাওয়া বোধহয় মেয়েটিকে শান্তি দিচ্ছে! কয়েক বছর আগেও ওই মেয়েটি তার প্রেমিকের নেশা সকলের কাছে লুকিয়ে তাকে কোলে শুইয়ে ঘুম পাড়াত। কিন্তু ভালোবাসার অভাবে যুবকটি তার প্রেমিকা তথা স্ত্রীকে বিবাহ বিচ্ছেদের নোটিশ ধরিয়ে দেয়।
স্ত্রী তাকে বলে, তার ভালোবাসার প্রতিদান তার স্বামী এই ভাবে দিল! স্বামী বলে, স্ত্রীর কাছে কি মনে আছে, কিভাবে গড়ে উঠেছিল তাদের সম্পর্ক! তারা দুইজনেই মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। স্কুলজীবন থেকে তাদের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। একসময় তারা একে অপরের রাগ ভাঙাত। কিন্তু আজ তারাই বিবাহ বিচ্ছেদের পথে। এই সময় তাদের কানে যায় তাদের মা-বাবার কথা। বাবা, মাকে বলেন অবসরের পর সন্ধ্যাবেলা সহধর্মিণীর সাথে কাটানো আধ ঘন্টা সময় তাঁর কাছে অক্সিজেন। মা তাঁর স্বামীকে বলেন, সেই সময় দুই মাসে হয়তো একটা চিঠি লিখতেন তিনি। তবু তাঁর চিঠির অপেক্ষায় বসে থাকতেন তাঁর স্ত্রী।
স্বামী বাড়ি ফিরে এলে উজাড় করে দিতেন জমানো ভালোবাসা। একসাথে আরও কয়েক বছর বাঁচতে চান তাঁরা। তাঁদের ঘরের বাইরে দাঁড়িয়ে এই কথাগুলি শোনে নতুন যুগের স্বামী-স্ত্রী। একসময় স্ত্রীর হাত থেকে ডিভোর্স পেপার কেড়ে নিয়ে ছিঁড়ে ফেলে দেয় তার স্বামী। তারা বুঝতে পারে, ভেঙে দেওয়া খুব সহজ যতটা কঠিন গড়ে নেওয়া।