Darjeeling: দার্জিলিং গেলেই গুনতে হবে ‘পর্যটন কর’! প্রতিদিন এত টাকা দিতে হবে মাথাপিছু
দুর্গাপূজা হোক বা শীতের ছুটি, কাজ থেকে ফুরসৎ মিললেই অনেকে ব্যাগ গুছিয়ে বেরিয়ে পড়েন বাড়ি থেকে। কখনও গন্তব্য হয়ে থাকে পাহাড়, কখনো সমুদ্র, কখনো ঐতিহাসিক স্থান, কখনো ধর্মীয় স্থান, আবার কখনো কোনো শান্ত জায়গা। এর মাঝে অনেকেই যান বিদেশ ট্যুরে, কেউ আবার ভিনরাজ্যে কোনো দর্শনীয় স্থান যেতে পছন্দ করেন। অনেকেই আবার কাছেপিঠের কোনো সুন্দর জায়গা খুঁজে নেন হলিডে ডেস্টিনেশন হিসেবে। সেখানেই দিনকয়েক কাটিয়ে আবার সাধারণ জীবনে ফিরতে হয়।
বাঙালির কাছেপিঠের সুন্দর জায়গার অন্যতম হল দার্জিলিং। পাহাড় ও জঙ্গলের অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্যই বিখ্যাত উত্তরবঙ্গের এই শহর। এই শহরকে বাংলার রানী বলা হয়। সেই কারণেই উত্তরবঙ্গে অবস্থিত ছবির মতো এই শহরকে বাংলার পর্যটন শিল্পের অন্যতম আধার হিসেবে ধরা হয়। প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ পর্যটক ভিড় জমান দার্জিলিংয়ে। আর যেহেতু সামনেই ভ্রমণের মাস ডিসেম্বর এবং তারপরেই বড়দিনের ছুটি, তাই এই সময় দার্জিলিং ট্যুর প্ল্যান করছেন অনেকেই।
তাই দার্জিলিংয়ে ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা থাকলে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জেনে রাখা উচিত। কারণ এটি না জানলে পাহাড়ি শহরে ঘুরতে গিয়েও নানা সমস্যায় পড়তে হতে পারে পর্যটকদের। কারণ এবার হোটেল ভাড়া ছাড়াও শহরে থাকতে গেলে প্রতি পর্যটককে প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট কর জমা দিতে হবে দার্জিলিং পৌরসভাকে। এই পর্যটন কর প্রথমবার ২০০৮ সালে লাগু হয়, ২০১১ সালে মাথাপিছু দৈনিক ৩ টাকা এবং ২০১২ সালে মাথাপিছু ১০ টাকা করে কর দেওয়া হয়েছিল। তবে এবার সেই করের অঙ্ক করে দেওয়া হয়েছে প্রতিদিন মাথাপিছু ২০ টাকা।
তবে এই বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার ঘটেছে সেখানের হোটেল মালিকদের মধ্যে। কারণ তাদের রেজিস্টার দেখে তাদের কাছ থেকেই পর্যটক পিছু এই কর নিয়ে থাকে প্রশাসন। এই বিষয়ে দার্জিলিংয়ের এক হোটেল মালিক বলছেন, “আমাদের সঙ্গে আলোচনা না করেই পৌরসভা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর আগেও এ ধরনের উদ্যোগ নিয়ে আমাদের খুব খারাপ অভিজ্ঞতা হয়েছে।” যদিও এই কর নেওয়ার কারণ স্পষ্ট করে দার্জিলিংয়ের পুরপ্রধান দীপেন ঠাকুরি বলেন, ‘‘মূলত জঞ্জাল সাফাইয়ের জন্যই এই কর নেওয়া হবে।’’