Howrah Station: হাওড়া স্টেশনের জায়গায় আগে কি ছিল জানেন? জেনে নিন অজানা ইতিহাস
হাওড়া থেকে হুগলির (Hoogly) উদ্দেশ্যে ১৮৫৪ সালে যাত্রা শুরু করে একটি ট্রেন। এই ট্রেনের যাত্রা পথ ছিল একানব্বই মিনিটের, আর তারপর থেকেই নতুন ইতিহাস রচিত হয় বর্তমানে ভারতের অন্যতম একটা রেলস্টেশন হল হাওড়া, প্রতিদিন এই হাওড়া দিয়ে কত লোক যাতায়াত করেন। তাই আর দেরি না করে চলুন আজকে দেখে নিন এই ব্যস্ততম হাওড়া স্টেশনের ইতিহাস।
হাওড়া স্টেশনের ইতিহাস জেনে নিন
আপনি যদি একটু ইতিহাসের পাতা উল্টান তাহলে দেখতে পাবেন শুরুর দিকে হাওড়া স্টেশন এমনটা ছিল না। একাধিক পরিকল্পনা এবং পরিবর্তনের পরে আজ কেমন রেলস্টেশন আপনার চোখের সামনে রয়েছে। আপনি কি জানেন? আজ যেখানে হাওড়া স্টেশন সেখানে একটা সময় ছিল আশ্রম, অনাথ ছেলে মেয়েদের জন্যই এমন আশ্রম ছিল, এই অনাথ আশ্রমের পাশেই ছিল একটা গির্জা।
পর্তুগিজ মিশনারিরা এই গির্জা দেখাশোনা করতেন, আর তারপরেই এই চত্বরে হয়েছিল একটা সময় প্রবল মহামারী। মহামারীর কথা শুনলেই আমাদের করোনা মহামারীর কথা মাথায় আসে কিন্তু সেই সময়তেও মহামারি হয়েছিল, সেই মহামারির হাত থেকে রক্ষা করার জন্য সমস্ত বাচ্চা, কর্মী, মিশনারীদের সরিয়ে কলকাতা দিকে নিয়ে আসা হয়েছিল। তারপর এই জায়গাটা ফাঁকা পড়েছিল এবং পর্তুগিজরা বিক্রি করে দিয়েছিলেন, রেলওয়ে কোম্পানির কাছে। আর এই কোম্পানি অর্থাৎ ইস্ট ইন্ডিয়া রেলওয়ে কোম্পানি নতুন একটা স্টেশন এখানে তৈরি করার কথা অনেক দিন ধরে ভাবছিলেন।
পর্তুগিজদের কাছ থেকে এই জমি পাওয়ার পর ইংরেজরা নিজের মতন করে হাওড়া স্টেশন তৈরি করেছেন, আদি হাওড়া স্টেশন প্রথমে ছিল। তারপর বাড়ির একটা অংশে ছোট্ট একটা জানালা ছিল, সেখান থেকেই টিকিট সংগ্রহ করা হতো আর তারপর ইঞ্জিন মেরামতির জন্য কিছু টিনের ঘর তৈরি করা হয়, তারপরে ছিল ষ্টোর রুম। এই নিয়ে প্রথম পথ চলা শুরু করেছিল হাওড়া স্টেশন। হাওড়া স্টেশনের প্রথম লাইন অর্থাৎ বর্তমানে ১৭ নম্বর লাইনটি বানানো হয়। এই লাইনে অন্য কোনো গাড়ি আসে না শুধু আসে পার্সেল গাড়ি। বর্তমানে শুধু আসে পার্সেল গাড়ি। বর্তমানে যে হাওড়া স্টেশনের বিল্ডিংটি আমরা দেখি তার কাজ শুরু হয় ১৯০১ সালে শেষ হয় ১৯০৬ সালে।