বাড়িতে ব্রকোলি চাষ করে দুর্দান্ত আয়ের সুযোগ শিখে নিন সহজ পদ্ধতি
শীতকালীন আবহাওয়ায় ব্রকোলি চাষের জন্য উপযুক্ত। ফুলকপির মতো দেখতে এই সবুজ ফুলকপি খেতে তেমন সুস্বাদু না হলেও শরীরের জন্য ভীষণ উপকারী। বাগান করার শখ কিংবা জীবিকা নির্বাহের জন্য খুব সহজেই চাষ করতে পারেন ব্রকলি।
মাটি: ব্রকোলি চাষের জন্য মাটিকে খুব উর্বর হতে হবে। বেলে দো-আঁশ, দোআঁশ মাটি, এঁটেল মাটিতে বেশি করে জৈব সার দিয়ে মাটি প্রস্তুত করতে হবে। তবে যে জমিতে চাষ করবেন দেখবেন সেই জমিতে যেন জল নিষ্কাশনের ভালো ব্যবস্থা থাকে।
সময়: আগস্টের মাঝ সময় থেকে অক্টোবরের মাঝখান পর্যন্ত অর্থাৎ ভাদ্র-আশ্বিন মাস হল বীজ বপনের সময়। কার্তিক মাস পর্যন্ত বীজ বোনা যায়।
দূরত্ব: প্রতি চারা থেকে চারার দূরত্ব অন্তত ৫০ সেন্টিমিটার হওয়া উচিত। দুই সারির মাঝে দূরত্ব দু ফুট রাখতে হবে।
জমি তৈরি: দিনে সাত-আট ঘণ্টা পর্যাপ্ত পরিমাণে সূর্যালোক পায় এমন জমি নির্বাচন করতে হবে। সেই জমি প্রথমে ভাল করে নিড়ানি দিয়ে ভালো করে খুঁড়ে নিতে হবে। তারপর মাটি ভালো করে ঝুরঝুরে করে নিতে হবে। অবশ্যই বেশি পরিমাণে জৈব সার দিতে হবে।
রোপণের পর পরিচর্যা: রোপণ করা হয়ে গেলে এক সপ্তাহ অন্তর অন্তর ভাল করে জল সেচ দিতে হবে। তারপর দশ দিন অন্তর অন্তর জলসেচ দিলেই হবে। আগাছা নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে। তবেই গাছ ভালো করে বৃদ্ধি পাবে।
সার দেওয়ার পরে অবশ্যই ভাল করে জল সেচ দিতে হবে। অতিরিক্ত জল বেরিয়ে যাওয়ার জন্য অবশ্যই নালা তৈরি করতে হবে এবং সেই নালা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
ফসল সংগ্রহ: রোপণের ৭০ দিনের মাথায় ফসল সংগ্রহের জন্য উপযুক্ত হয়ে যাবে। ধারালো ছুরি দিয়ে খুব সহজেই ব্রকোলির ফুল কেটে নেওয়া যায়। এইভাবে এক মাস ব্যাপী কয়েকবার ব্রকোলি সংগ্রহ করতে পারেন।
অর্থনৈতিক গুরুত্ব: ব্রকোলির অর্থনৈতিক গুরুত্ব অনেক। যখন ফুলকপি ১০ টাকায় পাওয়া যায় ব্রকোলির তখনও বাজার মূল্য ২৫ থেকে ৩০ টাকা। তাই অন্যান্য কাজের সঙ্গে আপনার বাড়ির সামনে যদি এক ফালি জমি থাকে তাহলে খুব সহজেই ব্রকোলি চাষ করে সেখান থেকে আয় করতে পারেন। তবে যাদের জমি নেই তারা ছাদ বাগানেও কুড়ি লিটার জলের ড্রাম এর মধ্যে ব্রকোলি চাষ করতে পারেন। একই পদ্ধতি মেনে চললে আপনি আপনার ছাদ বাগানের ব্রকোলি দিয়ে ব্যবসা করতে পারেন।