Income Tax: ছোট্ট ভুলের মাশুল গুনতে হবে করদাতাদের! এই কারণেই নোটিস পাঠাচ্ছে আয়কর দফতর
আয়কর জমা দেওয়া প্রতিটি দেয়াহের দায়িত্বশীল নাগরিকের মৌলিক কর্তব্যের মধ্যে পড়ে। তবে ভারতের মতো উন্নয়নশীল দেশে সবথেকে বেশি আয়কর ফাঁকি দেওয়ার ঘটনা ঘটে থাকে। তবে এইসব একাধিক কারণে নাগরিকদের নোটিস পাঠায় আয়কর দফতর। এর মাঝে আপনি যদি আপনার আয়কর রিটার্নে জাল ছাড় বা ছাড় দাবি করে থাকেন, তাহলে আপনি সমস্যায় পড়তে পারেন। সম্প্রতি, আয়কর দফতরের তরফে বলা হয়েছে যে আয়কর বিভাগ বেতনভোগী শ্রেণীর করদাতাদের তাদের আইটিআর-এ দাবিকৃত ছাড় বা কর্তনের প্রমাণ চেয়ে নোটিশ পাঠাচ্ছে।
উল্লেখ্য, আয়কর আইন নাগরিকদের পুরানো কর ব্যবস্থার অধীনে করা কর ছাড় এবং কর্তন দাবি করার অনুমতি দেয়। তবে যে করদাতারা তাদের আয়কর রিটার্নে জাল বা প্রতারণামূলক কর্তনের দাবি করেন, তারা আয়কর বিভাগের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারেন এবং নোটিশ পেতে পারেন। আজ আয়কর বিভাগের কাছে অনেকগুলি অপশন থাকে, যার মাধ্যমে যে কোনও ব্যক্তির আয় এবং ব্যয় সম্পর্কে তথ্য জমা দিতে পারেন। আইটিআর ফাইল করার সময়েই আয়কর দফতর করদাতার আয়ের উৎসের বিষয়ে তথ্য নেয়। এর মাঝে কোনো অমিল থাকলে আয়কর বিভাগ করদাতাকে নোটিশ পাঠায়।
তবে আয়কর দফতরের নোটিস পেলে সেটিকে সঠিক উপায়ে বিবেচনা করা উচিত। এই বইয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোনো বেতন শ্রেণির করদাতা নোটিশ পেলে তাকে যথাসময়ে নোটিশের জবাব দিতে হবে। নোটিশের জবাব দেওয়ার পাশাপাশি, কর ছাড় বা ভাতা ইত্যাদি সংক্রান্ত নথিও সরবরাহ করতে হবে। নোটিশ পাওয়ার পর, করদাতারা সাধারণত উত্তর দেওয়ার জন্য ১৫ দিন সময় পান। তবে, যদি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নোটিশের জবাব দিতে না পারলে স্থানীয় কর্মকর্তাকে সময় বাড়ানোর জন্য বলতে পারেন। যদিও তার জন্য উত্তর দেওয়াটা জরুরি।
বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন যে আয়কর বিভাগের নোটিশবিজ্ঞপ্তি উপেক্ষা করলে গুরুতর আইনি সমস্যায় পড়তে হতে পারে করদাতাকে। তাই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নোটিশের জবাব দেওয়া জরুরি। এছাড়াও নোটিশটি পাওয়ার পর সেটি কী সম্পর্কে তা বোঝা উচিত এবং বিষয়ের উপর ভিত্তি করেই উত্তর দেওয়া উচিত। জবাব দেওয়ার পাশাপাশি নোটিশের প্রতিক্রিয়া সহ নথিগুলির রেকর্ড রাখাটাও জরুরি। আয়কর বিভাগের নোটিশের জবাব দিতে করদাতাদের বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত। তারা সঠিক উত্তর দিতে জানেন বিষয়গুলি।