বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে চলছে ‘অ্যানিম্যাল’ ক্রেজ। এই ফিল্মের পরিচালক সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গা (Sandip Reddy Bhanga) নিশ্চয়ই জানতেন, ‘অ্যানিম্যাল’-এর চিত্রনাট্য নিয়ে শুরু হবে বিতর্ক এবং তা ফিল্ম মুক্তির পর দীর্ঘদিন ধরে অব্যাহত থাকবে। চিত্রনাট্যে দর্শকদের অধিকাংশ লক্ষ্য করেছেন পুরুষতন্ত্রের আস্ফালন। এর আগে সন্দীপ পরিচালিত ফিল্ম ‘কবীর সিং’-এর চিত্রনাট্যেও একই ঘটনা ঘটেছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও এই ফিল্ম সুপারহিট হয়েছিল। ফলে সন্দীপ আপাতত এই নীতি অনুসরণ করেই বক্স অফিস হাতের মুঠোয় করছেন। তিনি সফল হয়েছেন। এর মধ্যেই ‘অ্যানিম্যাল’ প্রবেশ করেছে ছ’শো কোটির ক্লাবে।
‘অ্যানিম্যাল’-এ রণবীর কাপুর (Ranbir Kapoor)-এর বিপরীতে অভিনয় করেছেন রশ্মিকা মন্দানা (Rashmika Mandanna)। কিন্তু এই ফিল্মে জোয়ার চরিত্র ছোট হলেও গুরুত্বপূর্ণ। এই চরিত্রে অভিনয় করে নজর কেড়েছেন তৃপ্তি দিমরি (Tripti Dimri)। বর্তমানে তিনি নতুন ন্যাশনাল ক্রাশ। তৃপ্তির ইন্সটাগ্রাম ফলোয়ারের সংখ্যাও গত কয়েক দিনে যথেষ্ট বেড়েছে। ছয় লক্ষ থেকে তা পৌঁছে গিয়েছে কুড়ি লক্ষে। কিন্তু জোয়া হয়ে ওঠার জন্য তৃপ্তিকে যথেষ্ট সাহসী হতে হয়েছে। নগ্ন দৃশ্য তো বটেই, অভিনেতার জুতোয় জিভ ছোঁওয়ানোর মতো দৃশ্য তৃপ্তিকে সাহসী প্রমাণ করতে গিয়ে তৈরি করেছে বিতর্ক। বিতর্কিত হয়েছে সংলাপ। তবে এই প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন তৃপ্তি স্বয়ং।
তিনি জানিয়েছেন, অভিনেত্রী হওয়ার সিদ্ধান্ত অবশ্যই তাঁর নিজস্ব ছিল। কোনোদিনই কেউ তাঁকে বাধ্য করেননি। অভিনয় তাঁর মধ্যে শিহরণ জাগিয়ে তোলে। প্রতি বার নিজেকে এক-একটি চরিত্রের জন্য ভেঙে আবারও নতুন করে গড়ে তোলেন তৃপ্তি। তৃপ্তি যখন অভিনয় শিখেছিলেন, সেই সময় তাঁর অভিনয় শিক্ষক তাঁকে বলেছিলেন, চরিত্র নিয়ে ছূঁৎমার্গ না রাখতে। কারণ প্রতিটি চরিত্র প্রকৃতপক্ষে মানুষের বিভিন্ন দিক। প্রত্যেক মানুষের মধ্যে ভালো-মন্দ দুটি দিক থাকে। ফলে অভিনেতাদের উচিত ভালো ও খারাপ দুই ধরনের চরিত্রের জন্য নিজেকে প্রস্তুত রাখা।
জুতোয় জিভ ছোঁওয়ানোর দৃশ্য প্রসঙ্গে তৃপ্তির মত, এই চরিত্রটির এটি গুরুত্বপূর্ণ অথচ ভিন্ন দিক। তবে বাস্তবে যদি তাঁর সাথে এই ঘটনা ঘটত, তাহলে ওই ব্যক্তিকে খুন করে ফেলতেন তৃপ্তি।
View this post on Instagram