whatsapp channel
Hoop Story

Vacation: হোমস্টের গা ঘেঁষেই বয়ে গিয়েছে পাহাড়ি নদী, মাত্র ১৫০০ তেই মন ভোলাবে এই অফবিট জায়গা

বাঙালির কাছে প্রিয় পর্যটন স্থল (Vacation) বলতে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে উঠে আসে তিনটি জায়গার নাম দার্জিলিং, দীঘা আর পুরী। বিশেষ করে হিল স্টেশন বলতে অধিকাংশ মানুষের গন্তব্য হয় দার্জিলিং। এখন এমন অবস্থা হয়েছে যে সারা বছরই দার্জিলিংয়ে ভিড়ে ভিড়াক্কার হয়ে থাকে। অফ সিজন বলে আর এখন কিছুই নেই সেখানে। গরমে তো বটেই, পাহাড়ে বর্ষা আর শীত উপভোগ করতেও নামে মানুষের ঢল।

কিন্তু সকলের তো আর জনসমাগম পছন্দ নয়। একটানা কাজের চাপ, শহরের হাঙ্গামা থেকে দূরে গিয়ে নিরালায় কিছুদিন কাটানোর ইচ্ছা থাকে অনেকেরই। তাই তারা খোঁজেন এমন জায়গা যেখানে ভিড় থাকে কম। পাহাড়ের কোলে শান্তিতে কয়েক দিন কাটিয়ে আসার জন্য অফবিট জায়গার চাহিদা জনপ্রিয়তা বাড়ছে দিনকে দিন। এই প্রতিবেদনে এমন এক জায়গার খোঁজ রইল যেটি অফবিট জায়গা হিসেবে বেশ প্রিয় হয়ে উঠেছে দর্শকদের।

জায়গাটির নাম হল বিজনবাড়ি (Bijanbari)। চারিদিকে পাহাড়ের কোলে সবুজে ঘেরা এক শান্তশিষ্ট পাহাড়ি গ্রাম। গা ঘেঁষে বয়ে গিয়েছে রঙ্গিত নদী। এই পাহাড়ি গ্রামেই ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে খেলনা বাড়ির মতো সুন্দর সুন্দর সব হোম স্টে। বিজনবাড়িতে ঘুরতে এসে এর মধ্যেই একটি হয়ে উঠতে পারে আপনার সাময়িক বাসস্থান। এখানকার মানুষেরাও বেশ অতিথিপরায়ণ। ঘরোয়া আদর যত্নে কোন দিক দিয়ে যে দু তিনটে দিন কেটে যাবে তা টেরই পাওয়া যাবে না।

এখানে সকালটা শুরু হয় নাম না জানা অজস্র পাখির কিচিরমিচির শুনে। তারপরে হোম স্টে তে বানানো গরম গরম এক কাপ কফি হাতে নিয়ে বসতে পারে বারান্দায়। রঙ্গিতের স্রোতের শব্দ শুনতে শুনতে চুমুক দিন ধোঁয়া ওঠা কফির কাপে। চাইলে পায়ে পায়ে গিয়ে বসতে পারেন রঙ্গিতের ধারে। মন ভোলাবে রঙ বেরঙের পাহাড়ি ফুলের শোভা। কমলালেবু এবং আনারসের চাষও হয় এখানে। হাতে পেয়ে যেতে পারেন দু রকম ফল। বিজনবাড়ি আসতে হলে শিয়ালদা বা হাওড়া থেকে ট্রেন ধরে চলে আসুন নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে। সেখান থেকে ভাড়ার গাড়িতে পৌঁছে যাবেন বিজনবাড়ি। পছন্দ মতো হোম স্টে বুক করে রাখুন আগে থেকেই। জনপ্রতি ১৫০০-২০০০ টাকা লাগবে থাকা এবং খাওয়া বাবদ। এছাড়া রয়েছে ক্যাম্পিংয়ের বন্দোবস্তও।

whatsapp logo

Nirajana Nag

আমি নীরাজনা নাগ। HoopHaap-এর একজন সাংবাদিক। বিগত চার বছর ধরে এই পেশার সঙ্গে যুক্ত রয়েছি। নিজের লেখার মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাঠকদের কাছে পৌঁছে দিতে চাই