Egg Price: ডিম-ভাত খেতেই হাড়-হিম অবস্থা! বড়দিনের আগেই ডিমের দাম বাড়তে পারে আরো
পুজোর আগে থেকেই বাজার করতে হিমশিম খাচ্ছে মধ্যবিত্ত বাঙালি। মাসখানেক আগে টমেটো, কাঁচালঙ্কা, রসুন ও আদার দাম বেড়ে গিয়েছিল আচমকা। সাধারণ মানুষের ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে গিয়েছিল এই জিনিসগুলি। তবে এর মধ্যে কাঁচালঙ্কা ও টমেটোর দাম এখন কিছুটা কমে এলেও এখন আবার চোখ রাঙাচ্ছে পেঁয়াজ, রসুন। একইসঙ্গে শীতের সবজি হলেও শিম, বেগুন ও মটরশুঁটির দামও এখন ঊর্দ্ধমুখী। কলকাতার বাজারে এখন পেঁয়াজের দাম রয়েছে কেজিপ্রতি ৬০ থেকে ৭০ টাকা। রসুন কিনলে প্রতি কেজিতে দাম দিতে হচ্ছে ৩০০ টাকা।
এর মাঝে আবার চোখ রাঙাচ্ছে ডিমের দাম। বড়দিনের আগেই কলকাতা সহ গোটা রাজ্যে বৃদ্ধি পাচ্ছে ডিমের দাম। কয়েক সপ্তাহ আগে পর্যন্ত প্রতি পিস ডিমের দাম ছিল ৫ টাকা থেকে ৬ টাকা। কয়েকমাস আগে ৭ টাকায় একজোড়া পোল্ট্রি মুরগির ফিম পাওয়া যেত। তবে ডিসেম্বরের শুরুতেই সেই ডিমের দাম পৌঁছে গিয়েছে ৭ টাকা থেকে ৮ টাকা প্রতি পিসে। এই দাম আরো বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে এই সময়ে। ব্যবসায়ীরা আশঙ্কা করছেন যে আগামী কয়েকদিনে ডিমের দাম ১০ টাকা প্রতি পিস হতে পারে।
উল্লেখ্য, বর্তমানে কলকাতা সহ যেকোনো পার্শ্ববর্তী বা জেলার বাজারে গেলেই ডিমের এই আকাশছোঁয়া দাম চোখে পড়ছে। কলকাতার বাজারে ইতিমধ্যে প্রতি পিস ৮ টাকার কিমে মিলছে না কাঁচা ডিম। কোথাও কোথাও ১৫ তাকে একজোড়া ডিম মিললেও, বেশিরভাগ জায়গাতেই ঊর্দ্ধমুখী পোল্ট্রি মুরগির ডিম। ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন যে তাদেরকে ডিম কিনতে হচ্ছে প্রতি পিসে ৭ টাকা থেকে ৭.৫০ টাকায়। সেই কারণেই ৮ টাকার কএম কেউই ডিম বিক্রি করতে নারাজ।
যদিও ক্রিসমাসের আগে এমনিতেই ডিমের দাম একটু বৃদ্ধি পায়। কারণ ক্রিসমাসের আগে গোটা বিশ্বে কেক ও পেস্ট্রির উৎপাদন বেড়ে যায়। পশ্চিমের দেশগুলির পাশাপাশি আমাদের দেশেও এখন বড়দিনের আগে বেশি পরিমাণে কেক বিক্রি হয়। সেই কারণে ডিমের চাহিদা বাড়ে এই সময়ে। গতবছরও ডিমের দাম এই সময় ৭ টাকায় পৌঁছে গিয়েছিল। তবে সেটি মাত্র একসপ্তাহ ছিল। তবে এবার পরিস্থিতি একটু জটিল। কারণ দক্ষিণ ভারতে সদ্য ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ডিমের উৎপাদন কিছুটা ক্ষতির মুখে পড়েছে বলে জানা যাচ্ছে।