whatsapp channel
Bengali SerialHoop Plus

ছেলেদের ক্ষেত্রে টাকা আর মেয়েদের শোওয়া! বাংলা ইন্ডাস্ট্রির কাস্টিং কাউচ নিয়ে বিষ্ফোরক ‘জিষ্ণু’

গ্ল্যামার জগৎ মানেই যেন নিষিদ্ধের হাতছানি। চাকচিক্য, খ্যাতি দেখে অনেকেই পা বাড়ায় বটে এই দুনিয়ায়, কিন্তু প্রদীপের শিকার তলায় থাকা অন্ধকারটা আড়াল করেই রাখা হয়। তবে বর্তমানে অভিনয় ইন্ডাস্ট্রির কালো দিকের কথা তুলনামূলক বেশি পরিমাণে প্রকাশ্যে আসছে। আর সেটা প্রকাশ্যে আনছেন সেই জগতের বাসিন্দারাই। এতদিন বলিউডের নানান কুৎসা, কাহিনি প্রকাশ্যে এসেছে। এবার খাস বাংলা ইন্ডাস্ট্রির অন্দরের অজানা দিকটা সামনে নিয়ে এলেন পর্দার ‘জিষ্ণু’ ওরফে অভিনেতা শমীক চক্রবর্তী (Shamik Chakraborty)।

বর্তমানে ‘ইচ্ছে পুতুল’ এবং ‘সন্ধ্যাতারা’ দুটি সিরিয়ালেই দেখা যাচ্ছে তাঁকে। তাঁর অভিনয়, চরিত্রের প্রতি সঠিক বিচার দর্শকদের এতটাই মুগ্ধ করেছে যে ঢালাও প্রশংসা পেয়েছেন শমীক। এমনকি সিরিয়ালের মূল নায়ককে সরিয়ে তাঁর চরিত্রটিকে বেশি গুরুত্ব দেওয়ার দাবিও উঠেছে। ইচ্ছে পুতুল-এ দুর্দান্ত অভিনয়ের পর সম্প্রতি সন্ধ্যাতারা তেও পা রেখেছেন তিনি। আর এবার বাংলা ইন্ডাস্ট্রির গোপন তম তথ্য ফাঁস করে দিলেন শমীক।

সম্প্রতি এক ইউটিউব পডকাস্টে এসে সিরিয়ালের বিষয়বস্তু, হাস্যকর প্লট থেকে শুরু করে ইন্ডাস্ট্রির কাস্টিং কাউচের বিষয়েও খোলামেলা কথা বলেন অভিনেতা। কৃষ্ণনগরের ছেলে শমীক কলকাতায় আসেন অভিনয়ের জন্য। ইন্ডাস্ট্রিতে বেশ কয়েক বছর কাটিয়ে ফেলেছেন তিনি। পডকাস্টে শমীক বলেন, বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতেও মধ্যে রয়েছে বিতর্কিত কাস্টিং কাউচ। এমনকি ঘটে প্রতারণার ঘটনাও।

কোনো রকম রাখঢাক না করেই তিনি বলেন, আপোস করলে কাজ তাড়াতাড়ি পাওয়া যায়। অর্থাৎ ছেলেদের ক্ষেত্রে টাকা আর মেয়েদের ক্ষেত্রে শোওয়া! তবে তিনি এও বলেন, কোনো শিল্পীকেই জোর করা হয় না। শুধুমাত্র প্রস্তাব দেওয়া হয়। তবে তিনি নিজে এমন মানুষদের দেখেছেন যারা নিজে থেকে এমন প্রস্তাবে রাজি হয়েছেন। বিশেষ করে নতুনদের সঙ্গে এমনটা বেশি হয় বলেও জানিয়েছেন শমীক। তবে একই সঙ্গে অভিনেতা এও বলেন, কারোর মধ্যে যদি প্রতিভা এবং অভিনয় করার খিদে থাকে, তাহলে সে এসব প্রলোভন থেকে নিজেকে বাঁচিয়েও ঠিক সুযোগ পাবে। সময় লাগবে ঠিকই, তবে সুযোগ আসে। শমীকের এহেন মন্তব্য নিয়ে বিতর্কও শুরু হয়েছে এর মধ্যেই।

whatsapp logo

Nirajana Nag

আমি নীরাজনা নাগ। HoopHaap-এর একজন সাংবাদিক। বিগত চার বছর ধরে এই পেশার সঙ্গে যুক্ত রয়েছি। নিজের লেখার মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাঠকদের কাছে পৌঁছে দিতে চাই