নতুন বছরে মাথায় বাজ পড়বে করদাতাদের, নগদ লেনদেন করলেই জমা দিতে হবে এই দুটি ফর্ম
ভারতের মতো উন্নয়নশীল দেশে সবথেকে বেশি আয়কর ফাঁকি দেওয়ার ঘটনা ঘটে থাকে। তবে এইসব একাধিক কারণে নাগরিকদের নোটিস পাঠায় আয়কর দফতর। এর মাঝে আপনি যদি আপনার আয়কর রিটার্নে জাল ছাড় বা ছাড় দাবি করে থাকেন, তাহলে আপনি সমস্যায় পড়তে পারেন। তবে তার আগে এমন কাজগুলি করে নেওয়া উচিত, যার মাধ্যমে আয়কর নোটিস এড়ানো যাবে পুরোপুরিভাবে। আর এবার করদাতাদের এমনই একটি কাজ করে নেওয়ার নির্দেশিকা দিলো CBDT।
এখন চলছে ডিসেম্বর মাস। ইংরেজি বছরের শেষ মাস এটি। এই মাস শেষে যেমন শেষ হয় ক্যালেন্ডারের বছর, তেমনই একইসঙ্গে এর কয়েকমাস পরেই শেষ হয় অর্থবর্ষও। অর্থাৎ এই মাসের পরেই আগামী নতুন বছরের এপ্রিল থেকে নতুন অর্থবর্ষ শুরু হতে চলেছে। আর নতুন অর্থবর্ষ মানেই নতুনভাবে আয়কর দাখিল করার সময় আসন্ন। আর আগামী অর্থবর্ষ শুরুর আগেই করে ফেলতে হবে একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ। নাহলে পড়তে হবে সমস্যায়। কারণ এই কাজটি করার সুযোগ রয়েছে ৩১ শে মার্চ, ২০২৪ অবধি। তাই এই ডেডলাইনের সাত মাস আগেই করদাতাদের সতর্ক করেছে CBDT।
সম্প্রতি, CBDT একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে করদাতাদের দুটি ফর্ম ফিলাপ করে জমা দেওয়ার নির্দেশিকা দিয়েছে। এবার এতদিন অবধি শুধুমাত্র কাগজে কলমে লেনদেনের ক্ষেত্রেই আয়কর দফতরকে জানানোর প্রথা চালু ছিল। এক্ষেত্রে নগদ লেনদেন হলে সেখানে এই বিষয়টি ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ ছিল। তবে এবার থেকে সেই সুযোগ আর থাকছে না। কারণ নগদ লেনদেনের ক্ষেত্রে এবার থেকে আয়কর দফতরকে জানাতে হবে। আর এর জন্য নতুন অর্থবর্ষ শুরুর আগেই এই কাজটি করে ফেলতে হবে। অর্থাৎ, জানুয়ারির শুরু থেকেই সমস্যায় পড়বেন লাখ লাখ মানুষ।
সূত্রের খবর, এবার নতুন বছর শুরুর আগেই ITR-1 এবং ITR-4 ফর্ম দুটি জমা দিতে হবে সব করদাতাদের। আর এই উভয় ফর্মে করদাতাকে নগদ লেনদেনের হিসেব লিখে জমা দিতে হবে। তবে ITR-1 ফর্মটি তাদের জন্য কার্যকর, যাদের ক্ষেত্রে বার্ষিক আয় ৫০ লক্ষ টাকার কম। এছাড়াও স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির ক্ষেত্রেও এই ফর্ম জমা দিতে হবে। এছাড়াও ITR-4 ফর্মটি হল অবিভক্ত পরিবারের জন্য, যাদের বার্ষিক আয় ৫০ লক্ষ টাকার কম।