‘মাদার ইন্ডিয়া’র শিশুশিল্পী থেকে আন্তর্জাতিক খ্যাতি! প্রয়াত অভিনেতা সাজিদ খান

বছরের একেবারে শেষ লগ্নে মর্মান্তিক খবর এসে পৌঁছাল মুম্বই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি থেকে। প্রয়াত অভিনেতা সাজিদ খান (Sajid Khan)। মেহবুব খানের কালজয়ী ছবি 'মাদার ইন্ডিয়া'তে সুনীল দত্ত অভিনীত বিরজু চরিত্রটির ছোটবেলা…

Nirajana Nag

বছরের একেবারে শেষ লগ্নে মর্মান্তিক খবর এসে পৌঁছাল মুম্বই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি থেকে। প্রয়াত অভিনেতা সাজিদ খান (Sajid Khan)। মেহবুব খানের কালজয়ী ছবি ‘মাদার ইন্ডিয়া’তে সুনীল দত্ত অভিনীত বিরজু চরিত্রটির ছোটবেলা ফুটিয়ে তুলেছিলেন তিনি পর্দায়। বিপুল জনপ্রিয়তা পাওয়ার পর আরও বেশ কিছু আন্তর্জাতিক ছবিতে অভিনয় করেন সাজিদ। জানা যাচ্ছে, মারণ রোগ ক্যানসার বাসা বেঁধেছিল তাঁর শরীরে। গত শুক্রবার, ২২ ডিসেম্বর প্রয়াত হন তিনি। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭১ বছর।

প্রয়াত অভিনেতার পুত্র সমীর সংবাদ মাধ্যমকে জানান এই শোক সংবাদ। বেশ কিছু সময় ধরেই ক্যানসারের বিরুদ্ধে লড়াই করছিলেন সাজিদ খান। কিন্তু অসম লড়াইয়ে শেষমেষ হার স্বীকার করতে হল তাঁকে। সমীর আরো জানান, রাজকুমার পীতাম্বর রানা এবং সুনীতা পীতাম্বর দত্তক নিয়েছিলেন সাজিদ খানকে। আর তাঁকে পালন করেছিলেন পরিচালক মেহবুব খান।

তবে বেশ অনেকদিন ধরেই সিনেমা থেকে দূরে ছিলেন সাজিদ খান। মানবপ্রেম নিয়েই চর্চা করছিলেন তিনি, জানান পুত্র সমীর। তিনি এও জানান, সাজিদ খান নাকি প্রায়ই কেরলে যেতেন। জায়গাটা তাঁর বড্ড মনে ধরে গিয়েছিল। সেখানেই ফের বিয়ে করেন তিনি আর কেরলেই বসবাস শুরু করেন।

মাদার ইন্ডিয়া ছবিতে শিশুশিল্পী হিসেবে অভিনয় করেছিলেন সাজিদ খান। ছবিটি অস্কারের জন্যও মনোনীত হয়েছিল। তারপর মেহবুব খানের ‘সন অফ ইন্ডিয়া’ ছবিতে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেন তিনি। সাজিদ খানের জনপ্রিয়তা শুধু ভারতীয় দর্শকদের মাঝেই সীমাবদ্ধ থাকেনি। ‘মায়া’ ছবির হাত ধরে তিনি সারা বিশ্বে খ্যাতি পেয়েছিলেন। বেশ কিছু আন্তর্জাতিক প্রোজেক্টে কাজ করেছিলেন সাজিদ। মার্কিন টিভি শো ‘দ্য বিগ ভ্যালি’র একটি পর্বে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। এছাড়া ‘ইটস হ্যাপেনিং’ নামে একটি মিউজিক শো তেও অতিথি বিচারক হয়ে এসেছিলেন তিনি। দ্য সিঙ্গিং ফিলিপিনা, মাই ফানি গার্ল, দ্য প্রিন্স অ্যান্ড আই এর মতো ছবিতে অভিনয় করেছিলেন সাজিদ খান। কেরলের কায়ামকুলম টাউনের জুমা মসজিদে শেষকৃত্য হয় তাঁর।

আমি নীরাজনা নাগ। HoopHaap-এর একজন সাংবাদিক। বিগত চার বছর ধরে এই পেশার সঙ্গে যুক্ত রয়েছি। নিজের লেখার মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাঠকদের কাছে পৌঁছে দিতে চাই