GPF: সরকারি কর্মীদের জন্য বড় খবর, মার্চ অবধি এই হারে সুদ মিলবে প্রভিডেন্ট ফান্ডে
সরকারের অধীনস্থ একাধিক সেক্টরে লক্ষাধিক কর্মী নিযুক্ত আছেন। সরকার প্রতিটি কর্মীকে সেক্টর অনুযায়ী বেতনের পাশাপাশি আরো একাধিক ভাতা প্রদান করে থাকে কর্মীদের। তবে এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড (EPF) স্কিম রেল সহ একাধিক সরকারি দফতর এবিং বেসরকারী সেক্টরে কর্মরত বেতনভোগী কর্মচারীদের অবসর-পরবর্তী জীবনের জন্য একটি নিরাপত্তা অফার করে। এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশন (EPFO) দ্বারা পরিচালিত, এটি কর্মচারী এবং নিয়োগকর্তা উভয়ের কাছ থেকে অবদান বাধ্যতামূলক করে।ইপিএফ স্কিম বর্তমানে ৮.১৫ শতাংশ বার্ষিক সুদের হার অফার করে।
তবে এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড ছাড়াও আরো একাধিক প্রভিডেন্ট ফান্ড চালু রয়েছে দেশে। যার মধ্যে অন্যতম হল জেনারেল প্রভিডেন্ট ফান্ড (GPF)। শুধুমাত্র সরকারি কর্মচারীরা এই প্রভিডেন্ট ফান্ডে টাকা রাখতে পারেন। বলা বাহুল্য, সরকারি কর্মীদের বেতনের কিছুটা অংশ কেটে এই ফান্ডে রাখা হয় তাদের কর্মকালে। আর এই ফান্ডের সুদের হার পরিবর্তিত হয় ত্রৈমাসিক অন্তরে। আর এবার মার্চ ত্রৈমাসীকের জন্য এই ফান্ডে সুদের হার ঘষণা হল। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত জেনারেল প্রভিডেন্ট ফান্ডে ৭.১ শতাংশ হারে সুদ মিলবে।
উল্লেখ্য, এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড ও জেনারেল প্রভিডেন্ট ফান্ড কয়েকটি ক্ষেত্রে আলাদা। আর এই পার্থক্য রয়েছে সুদের হারে পরিবর্তনের ক্ষেত্রে। এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ডে প্রতি বছর সুদের হার পরিবর্তন ককরে হয়। সেখানে জেনারেল প্রভিডেন্ট ফান্ডে প্রতি তিন মাসে পরিবর্তিত হয় সুদের হার। উল্লেখ্য, ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ডে সুদের হার ৮.১৫ শতাংশ রয়েছে। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের নিয়ম অনুযায়ী, প্রতি মাসে নিজেদের বেতনের ১২ শতাংশ টাকা দিতে হয়।
এদিকে অনেকেই মনে করছেন এবার মহার্ঘভাতা বাড়ানোর বিষয়ে ভাবছে মোদি সরকার। সপ্তম বেতন কমিশনের আওতায় এই বেতন বৃদ্ধি ঘটতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। অর্থাৎ হিসেব অনুযায়ী এবার মহার্ঘভাতা ৪ থেকে ৫ শতাংশ বাড়তে পারে। ফলস্বরূপ ৪৬ শতাংশ থেকে ৫০ শতাংশ করা হতে পারে কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মচারীদের ডিএ। আগামী ফেব্রুয়ারিতে এই ঘোষণা হতে পারে। তবে লোকসভা ভোটের আগেই কর্মীদের মন জয় করতে আগামী মার্চেই এই বিষয়ে ঘোষণা হতে পারে কেন্দ্র সরকারের তরফে।