DA Protest: রাজ্যের অবস্থানে অসন্তুষ্ট সরকারি কর্মীরা, ডিএ আন্দোলনের ভবিষ্যৎ নিয়ে বড় আপডেট
২০২৩-এর শুরুতেই কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের DA বৃদ্ধির খবর সামনে এসেছিল। গতমাসে সেই সিদ্ধান্তে সিলমোহর দিয়েছে কেন্দ্র। আর এবার আরো এক সুখবর এলো মোদি সরকারের কর্মচারীদের জন্য। মোদি সরকার শীঘ্রই কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী এবং পেনশনভোগীদের মহার্ঘ ভাতা (ডিএ এবং ডিআর) ৪ শতাংশ হারে বৃদ্ধি করতে পারে। সম্প্রতি পরামর্শ দেওয়া হয়েছে যে ডিএ/ডিআর হার বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত আগামী মাসে অর্থাৎ নভেম্বরে ঘোষণা করা হতে পারে।
যেহেতু দেশে খুচরা মূল্যস্ফীতি জুলাই মাসেই, গত ১৫ মাসের তুলনায় সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছেছে। আর সেই কারণেই এবার সরকার মহার্ঘভাতা বাড়াবে বলে আশা করা হচ্ছে। জানা গেছে, এবার মহার্ঘ ভাতা ৪ শতাংশ বেড়ে ৪২ শতাংশ হয়েছে। এই ডিএ বৃদ্ধি ১ লা জুলাই থেকে কার্যকর হয়েছে। আর এবার বৃদ্ধি পেয়ে তা হতে চলেছে ৪৬ শতাংশ। যেখানে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা মহার্ঘভাতা পেয়ে থাকেন মাত্র ৬ শতাংশ হারে। অর্থাৎ কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের কর্মীদের মধ্যে এই বিশেষ ভাতার পার্থক্য রয়েছে ৪০ শতাংশের। অন্যদিকে কেন্দ্র যেভাবে নিয়মিত এই ভাতা বাড়িয়ে যায়, রাজ্য কিন্তু তেমনটা করেনা।
আগামী নভেম্বরে অর্থাৎ আলোর উৎসব দীপাবলির আগে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের ডিএ বৃদ্ধি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে পারে মোদি সরকার। উল্লেখ্য, এবছর ১২ ই নভেম্বর দীপাবলি উৎসব হতে চলেছে। তবে তার আগেই এই মহার্ঘভাতা বৃদ্ধির সিদ্ধান্তে সিলমোহর দিতে পারে কেন্দ্র সরকার, এমনটাই জানা গেছে বিশেষ সূত্রে। এছাড়াও আগামী বছর অর্থাৎ, ২০২৪ সালে কেন্দ্র ৮ম বেতন কমিশন চালুর বিষয়েও সিদ্ধান্ত নিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, কেন্দ্রীয় সরকার সরকারী কর্মচারী এবং পেনশনভোগীদের প্রদত্ত ইন-হ্যান্ড বেতন বা পেনশনের মূল্যের উপর মুদ্রাস্ফীতির প্রভাব কমাতে একটি ত্রাণ ব্যবস্থা হিসাবে DA ও DR প্রদান করে।
এদিকে রাজ্যের ছবিটা সম্পুর্ন উল্টো। কটন বারবার আন্দোলন করে কেন্দ্রের হারে ডিএ পাওয়ার দাবি তুলেছে রাজ্য সরকারি কর্মীরা। তবে তাদের ডাকে সেভাবে সাড়া দেয়নি রাজ্য সরকার। তাই পুজোর মধ্যেও লাগাতার এই নিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সরকারি কর্মী সংগঠনের সদস্যরা। এই বিষয়ে আন্দোলনকারী সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের এক নেতা বলেন, “আমরা আন্দোলন করছি। আন্দোলন চলবেও। তবে পুজোর পর লাগাতার বনধের পথে হাঁটার প্রস্তুতু শুরু হয়েছে।”