RBI Announcement: বড়সড় সিদ্ধান্ত রিজার্ভ ব্যাঙ্কের, লোন নিলেই গুনতে হবে বেশি সুদ!
দেশজুড়ে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি এখন এক নিত্য সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। দিনের পর দিন নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়ছে আকাশছোঁয়া হারে। বিগত কয়েকমাসে তো এক্কেবারে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে এই মূল্যবৃদ্ধির সমস্যা। এই অবস্থায় কার্যত নাজেহাল দেশবাসী। বিশেষ করে দেশের মধ্যবিত্ত, নিম্ন-মধ্যবিত্ত এবং দারিদ্র্যসীমার নীচে বসবাসকারী মানুষজন এই পরিস্থিতির শিকার হয়ে চলেছেন দিনের পর দিন। আর এই অবস্থায় দেশের অর্থনীতির হাল ফেরাতে এবার এক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে সিলমোহর দিতে পারে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। তাদের এই সিদ্ধান্তের প্রভাব পড়তে পারে সেই সাধারণ মানুষের জীবনধারার উপরেই।
প্রসঙ্গত, দেশের এভাবে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর মূল্যবৃদ্ধি ঘটলে সেটিকে মূল্যস্ফীতি বলা হয়। আবার এই মূল্যস্ফীতির আরেকটি পর্যায় হল মুদ্রাস্ফীতি। আন্তর্জাতিক বাজারে দেশীয় মুদ্রার দাম কমে গেলেই এই ধরণের পরিস্থিতি তৈরি হয়। সম্প্রতি কিন্তু তেমনটাই ঘটেছে। আর এই পরিস্থিতি থেকে দেশের অর্থনীতিকে বাঁচাতে বাড়ানো হয় রেপো রেট। এই সূচক বাড়লেই বাড়ে লোন বা কিস্তির সুদের হার। অর্থাৎ সেক্ষেত্রে কিন্তু এর প্রভাব পড়ে সাধারণ মানুষের উপরেই।
সূত্রের খবর, এবার থেকে নতুন মুদ্রানীতির কথা ভাবছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। এটাই স্বস্তির খবর হতে পারে দেশবাসীর কাছে। সম্প্রতি জানা গেছে, আর বি আই গভর্নরের নেতৃত্বে ৬ সদস্যের একটি মনিটরী পলিসি কমিটি গঠন করা হয়েছে এই নতুন মুদ্রানীতির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য। ৮ আগস্ট থেকে ১০ আগস্ট অবধি এই কমিটির গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকেই এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানা গেছে। আগামী ১০ ই আগস্ট রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস নতুন মুদ্রানীতি সংক্রান্ত ঘোষণা করতে পারেন বলে অনুমান অনেকের।
প্রসঙ্গত, এর আগে দেশের এই মূল্যস্ফীতি সংক্রান্ত সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সুদের হার বাড়ানোর কথও ঘোষণা করেছিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। গত মে মাসে এই ঘোষণা হলেও কিন্তু গতবছর থেকে দেশের রেপো রেট রয়েছে ৬.৫। এরপর গত এপ্রিল এবং জুন মাসে দুটি দ্বিমাসিক নীতি পর্যালোচনা হলেও পরিবর্তন ঘটেনি রেপো রেটের। সেই কারণে এখনো পর্যন্ত সুদের হার পরিবর্তন করা হয়নি।