Onion Price Down: সুফল মিললো কেন্দ্রীয় নীতির! কবে নিয়ন্ত্রণে আসবে পেঁয়াজের দাম?
লকডাউনের পর থেকেই দেশে বেড়েই চলেছে মূল্যস্ফীতির সমস্যা। গত কয়েক মাসে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি যেন গোটা দেশে এক চরম সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে সাধারণ মানুষের কাছে। মশলাপাতি থেকে সবজি, মাছ-মাংস, চাল ও ডাল- সবকিছুর দাম বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। বলা বাহুল্য, খুব অল্প সময়ে বেশি হারে ঘটেছে এই মূল্যবৃদ্ধি। বর্ষার শুরুতেই কার্যত এভাবে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির ছবিটা ধরা পড়েছে আমাদের রাজ্যেও। পেট্রোপণ্যের লাগামছাড়া মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব যে বিভিন্ন সামগ্রীর পরিবহনে পড়ছে, তা মোটামুটি পরিষ্কার হয়েছিল নাগরিকদের কাছে।
মাসখানেক আগে টমেটো, কাঁচালঙ্কা, রসুন ও আদার দাম বেড়ে গিয়েছিল আচমকা। সাধারণ মানুষের ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে গিয়েছিল এই নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসগুলি। তবে সেগুলির দাম এখন কিছুটা কমে এলেও একসপ্তাহ আগে অবধি চোখ রাঙাচ্ছিল পেঁয়াজের দাম। দেশের কিছু অংশে দেখা গিয়েছিল সেই প্রভাব। গত সপ্তাহের থেকে কেজিপ্রতি পেঁয়াজের দাম বেড়েছিল ১৫ থেকে ২০ টাকা অবধি। আর এই মূল্যবৃদ্ধি দেখে অনেকেই মনে করেছিলেন যে যে আগামী মাসখানেকের মধ্যেই এই দাম চলে যেতে পারে মধ্যবিত্তের ধরাছোঁয়ার বাইরে। কারণ রাজ্যের নানা বাজারে পেঁয়াজের দাম গড়ে ছিল ৪০ থেকে ৪৫ টাকা প্রতি কেজিতে।
তবে এবার এই মূল্যবৃদ্ধি দমনে পুরোপুরিভাবে তৎপরতা দেখিয়েছে কেন্দ্র। দেশে পেঁয়াজের যোগান ঠিক রাখতে রপ্তানি শুল্ক বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। গত সপ্তাহে কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছিল যে পেঁয়াজের রপ্তানি শুল্ক বাড়িয়ে ৪০ শতাংশ করা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে রীতিমতো ক্ষোভের সঞ্চার ঘটেছিল দেশের কৃষকদের মধ্যে। মহারাষ্ট্রের কৃষকরা বিক্ষোভ প্রদর্শনও করেছিলেন এই বিষয়টিকে ঘিরে।
তবে এখনো অবধি কেন্দ্রের এই নীতির সুফল মেলেনি সেভাবে। কারণ দেশীয় বাজারে এখনো বাগে আনা যায়নি পেঁয়াজের দাম। ফলে একইসঙ্গে চাষী থেকে ব্যবসায়ী এমনকি ক্রেতারাও পাচ্ছেন না কোনো সুফল। তবে অনেকের মতে, কিছুদিনের মধ্যেই দাম কমতে পারে পেঁয়াজের। তবে এখানে এই বিষয়টি স্পষ্ট যে, ২০২৪ লোকসভা ভোটের আগে এভাবে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করতে যেসব পদক্ষেপ নিচ্ছে মোদি সরকার, তার ফলাফল মিলবে জনদেশে।