Hilsa Price: কেজিতে ১২০০ টাকা! কবে কমবে ইলিশের দাম? বড়সড় আপডেট দিলেন আড়তদাররা
কথায় বলে, মাছেভাতে বাঙালি। দেশে বিদেশে বাঙালির পরিচয় এক একটি খাবার দিয়েই দেওয়া হয়। তাই গ্রীষ্ম হোক বা শীত বা বর্ষা, বাঙালির ভাতের থালায় মাছের যোগান থাকতেই হবে। তবে বছরের অন্য সময় রুই, কাতলা কিংবা চিংড়ি থাকলেও বর্ষায় বাঙালির মন পড়ে থাকে ইলিশের দিকে। কারণ ইলিশের বিকল্প যে কিছুতেই হয়না, তা মোটামুটি সবার জানা। যায় বর্ষার বৃস্টি নামলেই বাজারে ইলিশের খোঁজ শুরু হয়ে যায়। দাম যতই হোক না কেন, ইলিশ কেনার সময় বাঙালি বাজেটের কথা ভাবেনা।
তবে চলতি বছরে বর্ষায় ঘাটতি দেখা গেছে বাংলায়। এপ্রিল থেকে ভয়ঙ্কর গ্রীষ্মের প্রতিরূপ দেখেছে বঙ্গবাসী। মে মাসেও জারি ছিল সেরকম আবহাওয়া। কিন্তু জুনের শুরুতে বৃষ্টি হলেও আবার জুনের শেষদিক থেকে গরমের তীব্রতা বেড়েছিল। গত সপ্তাহে অবধি বৃষ্টির আকাল চলছিল গোটও দক্ষিণবঙ্গে। একই অবস্থা ছিল বাংলাদেশে। তবে এবার বঙ্গোপসাগরে জোড়া সাইক্লোনিক সার্কুলেশনের জেরে মেঘ জমছে আকাশে। বৃষ্টিও শুরু হয়েছে দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকায়।
আর বর্ষার বৃষ্টির সঙ্গে বাজারে ইলিশের খোঁজাখুঁজি শুরু করেছেন অনেকেই। শুরুতে তেমনভাবে ইলিশ না মিললেও বিগত কয়েকদিনে সমুদ্র থেকে ট্রলার বোঝাই করে ইলিশ এনেছেন মৎস্যজীবীরা। ডায়মন্ডহারবার থেকে কাকদ্বীপে বেড়েছে ইলিশের যোগান। তবে বাজারে ইলিশের জপগান বাড়লেও এই রুপোলি ফসলের দাম কিন্তু রয়েছে উর্ধমুখী। কলকাতার বাজারে ৫০০-৭০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিকোচ্ছে ৫০০-৬৫০ টাকা প্রতি কেজি দরে, ৮০০-৯০০ গ্রাম ইলিশের দাম কেজিপ্রতি ৭৫০ টাকা, ১ কেজি বা তার বেশি ওজনের ইলিশের দাম রয়েছে প্রতি কেজিতে ১১০০-১২০০ টাকা কেজি দরে। তবে বড় সাইজের ইলিশ তেমনভাবে বাজারে নেই বললেই চলে।
কিন্তু এই দাম কি কমবে না? এই প্রশ্ন ইতিমধ্যে চলছে বাঙালির ঘরে ঘরে। তবে ইলিশ প্রিয় বাঙালির জন্য এটাই স্বস্তির খবর যে আগামী কয়েকদিন ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে দক্ষিণবঙ্গে। সেই কারণে সমুদ্রের পাশাপাশি নদীতেও মিলবে ইলিশ মাছ। আর সেই কারণে ইলিশের দামে ঘাটতি লক্ষ্য করা যাবে বলেই অনুমান অনেকের।