লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে বাড়ছে সুযোগ সুবিধা, পুজোর পরেই সুখবর পাবেন মা-বোনেরা
রাজ্যের মহিলাদের আর্থিক ভাবে বলীয়ান করে তুলতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে চালু করা হয় লক্ষ্মীর ভাণ্ডার (Lokkhir Bhandar) প্রকল্প। মহিলারা যাতে আর্থিক ভাবে সবল থাকেন তার জন্য এই প্রকল্পের মাধ্যমে তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয় টাকা। আর এই প্রকল্প চালু করার পরেই মহিলাদের মধ্যে অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে ওঠে প্রকল্পটি।
বর্তমানে কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, সবুজসাথী, যুবশ্রী, বার্ধক্য ভাতার মতো একগুচ্ছ প্রকল্প চালু রয়েছে রাজ্য সরকারের। তবে এই সমস্ত প্রকল্পের মধ্যে সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয়তা পেয়েছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প। গত বিধানসভা নির্বাচনে জেতার পরেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প শুরু করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নতুন সরকার গঠন করেই মহিলাদের আর্থিক ভাবে বলীয়ান করতে এই প্রকল্পের সূচনা করেন তিনি, যা পরবর্তীকালে মাস্টারস্ট্রোক হয়ে ওঠে রাজ্য সরকারের।
এই প্রকল্পে মাসে ৫০০ টাকা করে পেতেন জেনারেল কাস্টের মহিলারা। আর তফসিলি জাতি এবং উপজাতি ভুক্ত মহিলাদের জন্য ১০০০ টাকা করে দেওয়া হত লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে। তবে এই টাকার পরিমাণ সম্প্রতি ১০০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছে ১২০০ টাকা। আর যারা ৫০০ টাকা করে পেতেন তারা পাচ্ছেন ১০০০ টাকা। একটি পরিবার থেকে একের বেশি মহিলা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার এর জন্য নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন। এবার এই প্রকল্প নিয়ে শোনা যাচ্ছে নতুন আপডেট।
জানা যাচ্ছে, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে নাকি আরো বেশি সুবিধা পাওয়া যেতে চলেছে এবার। জানা যাচ্ছে, চলতি বছরের পুজোর পরে প্রকল্পের সুবিধা আরো বাড়তে পারে। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প যে শুধু মাসে মাসে মহিলাদের হাত খরচ দেয় এমনটা নয়, মহিলাদের কর্মসংস্থান তৈরি করতেও সাহায্য করে এই প্রকল্প। এই প্রকল্পের অর্থ বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করছেন মহিলারা। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের প্রতিটি আবেদন এখন খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ডিসেম্বর মাস থেকেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার এর সাহায্য মহিলাদের কাছে পৌঁছে দিতে পারবে সরকার। একুশে জুলাই এর মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আভাস দিয়েছিলেন, পুজোর পরেই সব প্রকল্প নিয়ে কাজ শুরু করবে সরকার।