এক সময় তিনি ছিলেন রাজ্যের সাংসদ। আর বর্তমানে তাঁর অনুপস্থিতিতে রাজ্যে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন তাঁরই স্ত্রী আর মেয়ে। অভিনেতা তাপস পাল (Tapas Paul)। তাঁর মৃত্যুর কয়েক বছর পরেও আবারো চর্চায় তাঁর স্ত্রী এবং কন্যা। শাসকের বিরুদ্ধে মুখ খোলায় নাকি একঘরে করে দেওয়া হয়েছে তাঁদের। এমনকি মন্ত্রীর কাছে সাহায্য চেয়েও নাকি কোনো লাভ হয়নি।
যাবতীয় ঘটনার সূত্রপাত ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে। রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে হঠাৎ করেই মুখ খোলেন প্রয়াত অভিনেতার স্ত্রী নন্দিনী পাল। এনেছিলেন একের পর এক অভিযোগ। আর তারপর থেকেই নাকি যাবতীয় সমস্যার সূত্রপাত। তাঁদের নাকি কার্যত একঘরে করে রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে সংবাদ মাধ্যমকে তাপস পালের স্ত্রী নন্দিনী জানান, তাঁদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হচ্ছে। অসহযোগিতা করা হচ্ছে। বাড়িতে কাজের লোক আসছে না।
তিনি আরো বলেন, একটা সময় তাপস পাল যাঁদের জন্য এতকিছু করে গিয়েছেন তাঁরাই ইন্ধন দিয়ে এসব করাচ্ছেন। শাসক দলের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন তিনি। সেই কারণেই এমনটা হচ্ছে বলে দাবি করেন নন্দিনী। তিনি এও জানান, এক মন্ত্রীকে অভিযোগ জানাতে ফোন করেছিলেন তিনি। কিন্তু তিনি ফোনও ধরেননি। এর আগেও রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা গিয়েছিল তাপস পালের স্ত্রীকে। তিনি অভিযোগ করেছিলেন, তাঁদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েও তা ভাঙা হয়েছে। এমনকি মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস তাঁদের নম্বর ব্লক করে দিয়েছেন বলেও বিষ্ফোরণ ঘটিয়েছিলেন নন্দিনী।
ক্ষুব্ধ নন্দিনী বলেন, শিরদাঁড়া বেচে দিয়ে তৃণমূল দল করতে হয়। এর থেকে ব্রিটিশ এবং বাম আমল অনেক ভালো ছিল। তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষকে তিনি সবটা জানিয়েছেন বলেও মন্তব্য করেন নন্দিনী। কিন্তু লাভের লাভ হয়নি। ২০২০ সালে প্রয়াত হন তাপস পাল। অসুস্থ ছিলেন তিনি। আর এখন স্ত্রী নন্দিনী এবং মেয়ে সোহিনী নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন তাঁর অনুপস্থিতিতে। কার্যত ভেঙে পড়েছেন দুজনে।