শনিবার নক্ষত্র পতন হয়েছে বাংলা চলচ্চিত্র জগতে। প্রয়াত হয়েছেন অভিনেত্রী শ্রীলা মজুমদার (Sreela Majumdar)। ক্যানসারের সঙ্গে দীর্ঘ লড়াই শেষে ইহ জগতের মায়া কাটিয়ে তিনি পাড়ি দিয়েছেন পরপারে। শ্রীলা মজুমদারের মৃত্যু নাড়িয়ে দিয়েছে বিনোদন জগৎকে। তাঁকে নিজের দিদি বলে মানতেন অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত (Rituparna Sengupta)। বলা বাহুল্য শ্রীলা মজুমদারের আকস্মিক অকালপ্রয়াণে সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছেন তিনি।
সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে শ্রীলা মজুমদারকে নিয়ে স্মৃতি রোমন্থন করলেন ঋতুপর্ণা। তাঁর কথায়, তাঁর দিদি আর নেই। তবে এই কথাটা তিনি কোনোদিনই বলতে পারবেন না। কারণ তাঁর দিদি রয়েছেন তাঁর মধ্যেই, যিনি সবসময় তাঁকে শক্তি জুগিয়েছেন। ঋতুপর্ণা বলেন, তাঁর দিদি সবসময় তাঁকে বলতেন, তিনি যেন কখনো নিয়ে থামেন, কখনো না ভাঙেন। হাজারো প্রতিকূলতার মধ্যেও সবসময় এগিয়ে যাওয়ার কথা বলতেন শ্রীলা মজুমদার। বলতে বলতে কেঁদে ফেলেন ঋতুপর্ণা।
নিজের দিদি নেই, একথা কখনো ঋতুপর্ণাকে বুঝতে দেননি অভিনেত্রী। স্নেহ, মমতা, ভালোবাসা দিয়ে ভরিয়ে রাখতেন সবসময়। ঋতুপর্ণা আরো বলেন, নিজের অভিনয় দিয়ে গোটা পৃথিবীতে নাম করেছিলেন শ্রীলা মজুমদার। আন্তর্জাতিক মানের পরিচালকদের সঙ্গে কাজ করেছিলেন তিনি। এমন একজন অভিনেত্রীর বিষয়ে কথা বলার ব্যাপারে তিনি খুবই ক্ষুদ্র। শ্রীলা মজুমদার একজনই ছিলেন আর একজনই থাকবেন। তবে শেষ কয়েকটা দিন অনেক কষ্ট পেয়েছেন তিনি। তবে ঋতুপর্ণা জানান, শ্রীলা মজুমদার বারবার বলতেন, তিনি ঠিক ভালো হয়ে যাবেন। তারপর আবার একসঙ্গে কাজ করবেন, একত্রে অনুষ্ঠান করবেন।
ঋতুপর্ণা বলেন, একসঙ্গে অনেক অনুষ্ঠান করেছেন, ছবি করেছেন তাঁরা। পরবর্তীকালে মন ভেঙে গিয়েছিল প্রয়াত অভিনেত্রীর। ইন্ডাস্ট্রির অনেকের কাছেই অভিমান জমা হয়েছিল বলে মন্তব্য করেন ঋতুপর্ণা। প্রসঙ্গত, বিগত তিন বছর ধরে ডিম্বাশয়ের ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করছিলেন শ্রীলা মজুমদার। গত নভেম্বর মাসে শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হয় তাঁর। গত ১৩-২০ জানুয়ারি পর্যন্ত টাটা মেডিকেল সেন্টারে ভর্তি ছিলেন তিনি। তারপরে বাড়িতে নিয়ে আসা হয় অভিনেত্রীকে। শনিবার প্রয়াত হন শ্রীলা মজুমদার।
View this post on Instagram