অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত (Rituparna Sengupta), টলিউডের অন্যতম স্তম্ভ। দীর্ঘদিনের অভিনয় কেরিয়ারে অগুনতি ছবি উপহার দিয়েছেন তিনি। যেমন করেছেন প্রবীণ অভিনেতাদের সঙ্গে। তেমনি কাজ করেছেন নবীনদের সঙ্গেও। তবে ঋতুপর্ণারও একটি ‘দোষ’ রয়েছে। তাঁর সম্পর্কে টলিপাড়ায় একটি কথা খুবই শোনা যায়। তা হল, ঋতুপর্ণা নাকি বড্ড দেরি করে শুটিং সেটে এসে পৌঁছান। তবে তাঁর এই কাণ্ডের জন্য একেবার রীতিমতো বিপদে পড়তে হয়েছিল তাঁকে। কেঁদে আকুল হয়েছিলেন অভিনেত্রী।
বর্ষীয়ান অভিনেতা দুলাল লাহিড়ী একবার ঋতুপর্ণার প্রযোজনায় একটি ছবির পরিচালনা করেছিলেন। সেই ছবিতে অভিনয়ও করেছিলেন ঋতুপর্ণা। ছবিটির নাম ছিল ‘বৃষ্টির ছায়াছবি’। ওই ছবির সেটেই ঘটেছিল ঘটনাটি, যা পরে শোনা গিয়েছিল প্রবীণ অভিনেতার মুখে। তাঁর জন্য রীতিমতো কেঁদে ভাসিয়ে ছিলেন ঋতুপর্ণা।
ছবির শুটিং এর জন্য একদিন কল টাইম ছিল সকাল নটায়। দুলাল লাহিড়ী পৌঁছে গিয়েছিলেন ঠিক সময়ে। কিন্তু তিনি গিয়ে দেখেন, ঋতুপর্ণা নিজেই আসেননি। দেঢ় ঘন্টা পর অভিনেত্রী যখন সেটে পৌঁছান তারপরেই প্যাক আপ ঘোষণা করে দেন দুলাল লাহিড়ী। এই ঘটনায় চমকে ছিলেন ঋতুপর্ণা। কারণ জিজ্ঞাসা করাতে দুলাল লাহিড়ী স্পষ্ট বলেছিলেন, ‘তোকে কেউ কিছু না বলাতে তুই খুব বেড়েছিস। এই দেরির ফলে যে ক্ষতিটা হবে সেটা তুই বুঝতে পারবি। তুই এই ছবির প্রযোজক, তোর তো আরো ভালো করে বোঝা উচিত ছিল’।
ধমক খেয়ে কেঁদে ভাসিয়ে ছিলেন ঋতুপর্ণা। তিনি বলেছিলেন, দুলাল লাহিড়ীর শুটিংয়ে আর কোনোদিন তিনি দেরি করে আসবেন না। ঋতুপর্ণার চোখে জল দেখে নরম হন অভিনেতা। তিনি বলেছিলেন, শুধু তাঁর শুটিংয়ে নয়, অন্য ছবির সেটেও যেন ঋতুপর্ণা দেরি না করেন। ওই কথাটা মনে রেখে দিয়েছিলেন ঋতুপর্ণা।