এবার ১০ লক্ষ টাকার বেশি আয়েও দিতে হবে না ইনকাম ট্যাক্স, এলো বড়সড় বিজ্ঞপ্তি
ভারতীয় নাগরিক হলে একটি নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা আয় করলে দিতে হয় আয়কর বা ইনকাম ট্যাক্স (Income Tax)। তবে যারা কম অঙ্কে আয় করেন তারা আয়কর দেওয়াতে যোগ্য নন। কিন্তু যদি বলি, এখন থেকে আয় যতই বেশি হোক না কেন ইনকাম ট্যাক্স দেওয়ার প্রয়োজন পড়বে না, তাহলে কেমন হয়? হ্যাঁ ঠিকই পড়েছেন। যদি কারোর মাসিক আয় সর্বোচ্চ ১২ লক্ষ টাকাও হয় তাহলেও ইনকাম ট্যাক্স দেওয়ার দরকার পড়বে না। উপরন্তু সমস্তটাই হয় আইনি বৈধতাতেই।
আয়কর নিয়ে অনেকের মনেই অনেক প্রশ্ন থাকে, ভীতিও থাকে। যার আয় যত বেশি তাকে তত বেশি কর দিতে হবে, এমনটাই সাধারণত ধরা হয়। বর্তমানে কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ম মতো, নূন্যতম ৭ লক্ষ টাকা মাসিক আয় হলে আয়কর দিতে হয় ভারতীয় নাগরিকদের। কারোর বেতন যদি ১০ লক্ষ টাকা হয় তাহলে তাকে আয়ের ২০ শতাংশ কর দিতে হবে। তবে আইনি বৈধতায় যদি আয়করের পরিমাণ কমানো যায় বা আয়করের ঝামেলা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় সেটা কে না চায়? কীভাবে করা সম্ভব তেমনটা?
জানিয়ে রাখি, মাসে ১০.৫০ লক্ষ টাকা আয় করলে আয়কর জমা দিতে হবে না। এর জন্য রয়েছে কিছু নিয়ম। বান্ধব পদ্ধতিতে ১০.৫০ লক্ষ টাকার বেশি মাসিক আয় করলে আয়কর ছাড় পাওয়া যায়। ধারা ১৬-র অধীনে স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশনে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত ছাড় পাওয়া যায়। অর্থাৎ বেতন দাঁড়াচ্ছে ১০ লক্ষ টাকা। ধারা ৮০ সি এর অধীনে যদি LIC, PF, PPF, NSC কিংবা বাচ্চাদের টিউশন ফিতে টাকা বিনিয়োগ করা হয় তাহলে দেড় লক্ষ টাকা পর্যন্ত কর ছাড় দেওয়া হয়। সেই হিসেবে বেতন দাঁড়াবে ৮.৫ লক্ষ টাকা।
ধারা ৮০ CCD এর টায়ার ১ এর অধীনে যদি জাতীয় পেনশন স্কিমে অর্থ বিনিয়োগ করা হয় তাহলে ৫০ হাজার টাকা কর মুক্তি পাওয়া সম্ভব। তাহলে বেতন দাঁড়াবে ৮ লক্ষ টাকায়। ধারা ৮০ ডি এর আওতায় নিজের, স্ত্রী এবং শিশুদের জন্য স্বাস্থ্য বিমা করা হলে আয়কর থেকে ২৫ হাজার টাকা ছাড় পাওয়া যায়। বাবা মায়ের নামে স্বাস্থ্য বিমা করলে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত আয়কর বাঁচানো যাবে। সব বাদ দিয়ে মোট বেতন দাঁড়াচ্ছে ৭২৫০০০ টাকা।