whatsapp channel
GossipHoop PlusHoop Video

বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ঘনিষ্ঠতা, অক্ষয়ের কুকীর্তি ফাঁস করে দেন রবীনা

বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে সম্পর্কের ভাঙাগড়া লেগেই রয়েছে। সব সম্পর্ক যে শেষ পর্যন্ত টিকে যায় এমনটা হয়। বহু উথালপাথাল প্রেমও ভেঙে গিয়েছে তাসের ঘরের মতো। এমনই প্রেম ছিল অক্ষয় কুমার (Akshay Kumar) এবং রবীনা ট্যান্ডনের (Raveena Tandon)। নব্বই দশকের বলিউডে তাঁদের প্রেম নিয়ে কম চর্চা হয়নি। একসঙ্গে একাধিক ছবিতে অভিনয়ের থেকে অফ ক্যামেরাতেও তাঁদের প্রেম ছিল চোখে পড়ার মতো। বিশেষ করে ‘মোহরা’ ছবিতে ‘টিপ টিপ বরষা পানি’ গানে অক্ষয় রবীনার রসায়ন নিয়ে আজো চর্চা হয় দর্শক মহলে।

সে সময়ে বলিউডে অক্ষয় রবিনার সম্পর্ক কারোরই অজানা ছিল না। শুধু যে তাঁদের মধ্যে প্রেম ছিল এমনটা নয়, বিয়ের সিদ্ধান্তও নিয়েছিলেন তাঁরা। ১৯৯৫ সালে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন অক্ষয় রবীনা। এমনকি শোনা গিয়েছিল, তাঁদের নাকি বাগদানও হয়ে গিয়েছে। কিন্তু শেষমেষ আর বিয়েটা হয়ে ওঠেনি। দুজনেই ভিন্ন ভিন্ন মানুষকে বেছে নিয়েছিলেন জীবনসঙ্গী হিসেবে।

অক্ষয় রবীনার সম্পর্ক ভাঙার নেপথ্যের কারণ হিসেবে শোনা গিয়েছিল, অভিনেতার একাধিক অভিনেত্রীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা মেনে নিতে পারেননি রবীনা। টুইঙ্কল খান্নার সঙ্গে তাঁর মেলামেশা ভালো ভাবে নেননি অভিনেত্রী। পরবর্তীতে এক সাক্ষাৎকারে রবীনা বলেছিলেন, অক্ষয়ের সঙ্গে যখন তাঁর বিচ্ছেদ হয় তখন তিনি সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছিলেন মানসিক ভাবে। সে সময়ে তাঁর হাতে কোনো কাজও ছিল না। রাতে ঘুম আসত না রবীনার। তাই প্রতি রাতেই নিজের গাড়ি নিয়ে একা বেরিয়ে পড়তেন অভিনেত্রী।

সাক্ষাৎকারে রবীনা জানিয়েছিলেন, এমনই এক রাতের ঘটনা তাঁর জীবনটা বদলে দিয়েছিল। সে রাতেও গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়েছিলেন তিনি। হঠাৎ এক বস্তির দিকে চোখ পড়াতে তিনি দেখেছিলেন, একটি বাড়িতে ক মাতাল স্বামী তার স্ত্রীকে ধরে মারছেন। আর তাদের ছেলে মেয়েরা বাইরে বৃষ্টির মধ্যে দাঁড়িয়ে কাঁদছে। অন্যদিকে আরেকটি ঝুপড়িতে এক মহিলা বৃষ্টির হাত থেকে নিজের ঘর বাঁচাতে ব্যস্ত। এই দৃশ্য দেখে রবীনার গভীর উপলব্ধি হয়েছিল। নিজেই নিজেকে প্রশ্ন করেছিলেন তিনি, তাঁর জীবনে কী কম রয়েছে? তিনি কাঁদছেনই বা কেন? তিনি চেষ্টা করলেই অনেক কাজ করতে সক্ষম। এরপরেই বিচ্ছেদ বেদনা কাটিয়ে ফের কেরিয়ারে মন দেন রবীনা।

whatsapp logo

Nirajana Nag

আমি নীরাজনা নাগ। HoopHaap-এর একজন সাংবাদিক। বিগত চার বছর ধরে এই পেশার সঙ্গে যুক্ত রয়েছি। নিজের লেখার মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাঠকদের কাছে পৌঁছে দিতে চাই