বাঙালির চিরকালীন মহানায়িকা সুচিত্রা সেন (Suchitra Sen)। তাঁর অভিনয়, সৌন্দর্য, চোখের এক চাহনিতে মুগ্ধ ছিল আপামর বাঙালি। শুধু সেকালে নয়, মুগ্ধতাটা রয়ে গিয়েছে একই রকম। কিন্তু সবার কাছে সুচিত্রা সেনের ভাবমূর্তি এক রকম ছিল না। বাংলা চলচ্চিত্র জগতের আরেক খ্যাতনামা অভিনেত্রী লিলি চক্রবর্তীর (Lily Chakraborty) সঙ্গে নাকি তেমন ভালো সম্পর্ক ছিল না মহানায়িকার। এমনকি তাঁদের মধ্যে নাকি কথাবার্তাও হত না ক্যামেরার পেছনে। কিন্তু এর কারণ কী ছিল?
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এ বিষয়ে নিজেই মুখ খুললেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী লিলি চক্রবর্তী। স্বর্ণযুগের সিনেমায় যেমন দাপুটে অভিনয় দিয়ে খ্যাতি পেয়েছিলেন তিনি, তেমনি এখনো তাঁর অভিনয় মুগ্ধ করে চলেছে দর্শকদের। এই ৮২ বছর বয়সেও টেলিভিশন সিরিয়াল, সিনেমায় চুটিয়ে অভিনয় করছেন তিনি। ক্লাবে নাটক দিউ অভিনয় শুরু করেন লিলি চক্রবর্তী। বহু ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। উত্তম কুমারের সঙ্গে দেওয়া নেওয়া, দুই পুরুষ, দেবদাস, ভোলা ময়রার মতো ছবিতে কাজ করেছেন। সুচিত্রা সেনের সঙ্গে বিপাশা, দীপ জ্বেলে যাই এর মতো ছবিতে অভিনয় করেছেন।
কিন্তু সাক্ষাৎকারে লিলি চক্রবর্তী জানান, সুচিত্রা সেনকে তিনি এড়িয়ে চলতেন। কারণ মাঝে মাঝে নাকি লিলি চক্রবর্তীকে দেখেও চিনতে পারতেন না তিনি। একদিনের ঘটনার কথা অভিনেত্রী বলেন, ‘একবার আমার স্বামী এবং পরিচালক অজয় বিশ্বাসের সঙ্গে দক্ষিণেশ্বর গিয়েছি। সুচিত্রা সেনও সেদিন সেখানে ছিলেন। আমাকে দেখেই মুখের হাবভাব এমন করলেন যেন কোনোদিন দেখেনইনি। অথচ ততদিনে আমরা বিপাশায় কাজ করে ফেলেছি’।
লিলি চক্রবর্তী এও জানান, একটি ছবিতে তাঁর অভিনয় করার কথা থাকলেও নাকি সুচিত্রা সেন নিজে প্রযোজককে বলে সেই ছবিতে কল্যাণী মণ্ডলকে নেন। বর্ষীয়ান অভিনেত্রী বলেন, হয়তো তাঁর অভিনয়ে ঈর্ষান্বিত হতেন মহানায়িকা। শুধু তিনি নন, অনেকেই তাঁর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছেন এক সময়। কিন্তু তিনি সেসব মনে রাখেননি। তবে লিলি চক্রবর্তী জানান, উত্তম কুমারের সঙ্গে তাঁর খুবই সদ্ভাব ছিল।