অভিনয়কে অনেকদিন আগেই বিদায় জানিয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরে সফল সঞ্চালনার পর এবার রাজনীতির আঙিনায় পা রাখতে চলেছেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় (Rachna Banerjee)। তৃণমূলের হয়ে হুগলী কেন্দ্র থেকে লড়তে চলেছেন তিনি। বিপরীতে বিজেপির লকেট চট্টোপাধ্যায়। অভিনয়ে সহকর্মী হলেও রাজনীতিতে রচনার থেকে অনেকটাই সিনিয়র লকেট। তবে এটাকে নতুন চ্যালেঞ্জ হিসেবেই নিচ্ছেন পর্দার ‘দিদি নাম্বার ওয়ান’।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে রচনা বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্যই তাঁর রাজনীতিতে আসা। একজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রীকে সম্মান জানানোটা কর্তব্য বলে মত তাঁর। তবে রচনা জানান, রাজনীতিতে এলেও নির্বাচনে লড়বেন কিনা সেই সিদ্ধান্ত নিতে তাঁর বেশ সময় লেগেছিল। অন্তত এক মাস ধরে আলোচনা করেছেন তিনি। তাঁর মূলত চিন্তা ছিল ছেলে প্রণীলকে নিয়ে। টুয়েলভে পড়ছে প্রণীল। তাকে কতটা সময় দিতে পারবেন তা নিয়ে চিন্তায় ছিলেন রচনা। তবে শেষমেষ মুখ্যমন্ত্রীর কথাতেই রাজি হয়ে যান তিনি।
যদিও রচনা স্পষ্ট বলেন, তাঁর ছেলে এই সিদ্ধান্তে মোটেই খুশি নয়। কারণ এখন থেকে হুগলীতে থাকতে হবে রচনাকে। মা তাকে ছেড়ে চলে যাবে, তাই অভিমান প্রণীলের। তবে রচনা তাকে আশ্বস্ত করেছেন, তার পাশে মাকে সবসময় পাবে। তিনি এও বলেন, উচ্চমাধ্যমিকের পর প্রণীল বাইরে পড়তে চলে যাবে। বাইরে তার নিজস্ব জগৎ তৈরি হবে। কিন্তু তাঁর কাছে এই সুযোগটা থাকবে না। তাই শেষে সিদ্ধান্তটা নিয়েই নেন রচনা।
সিঙ্গুর থেকে সন্দেশখালি যেকোনো ইস্যু নিয়েই প্রশ্নের মুখে পড়ার জন্য তৈরি রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, শালীনতা বজায় রেখে রাজনীতির লড়াই করবেন তিনি। নোংরামি তাঁর স্বভাবে নেই। ভোটে জিতলে মহিলাদের পাশে দাঁড়াবেন। না জিতলেও ক্ষতি নেই, তাঁর নিজস্ব জগৎ রয়েছে বলে মন্তব্য করেন রচনা। অভিনেতা অভিনেত্রীদের ভোটে জিতে কাজ না করার অভিযোগ রয়েছে, জনমানসে ক্ষোভও রয়েছে। এ বিষয়ে রচনা বলেন, ৩০ বছর বয়সে অনেক কিছু এক্সপ্লোর করার থাকে। তাই কম বয়সে রাজনীতিতে এলে এই সমস্যা হওয়া স্বাভাবিক। তবে রাজনীতিকে যিনি মুখ্য স্থানে রাখবেন তিনি অনেক কিছু ছাড়তে পারবেন বলে মন্তব্য করেন রচনা।
View this post on Instagram