এখনো হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী বাসন্তী চট্টোপাধ্যায় (Basanti Chatterjee)। গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। অবস্থা ক্রমে সঙ্কট জনক হয়ে ওঠে। কোমায় চলে যান অভিনেত্রী। শোনা গিয়েছিল, চিকিৎসকরা এক রকম জবাব দিয়ে দিয়েছেন। জীবনী শক্তি দিয়ে এখনো বেঁচে থাকার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। কিন্তু গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে, সন্তানদের কাউকেই নাকি পাশে পাননি বর্ষীয়ান অভিনেত্রী।
গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় দমদমের এক নার্সিং হোমে ভর্তি করানো হয় বাসন্তী দেবীকে। জানা গিয়েছে, তাঁর প্রাক্তন গাড়ির ড্রাইভার মলয় চাকীই নাকি তাঁকে ভর্তি করিয়েছিলেন। এর আগেও একবার হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার প্রয়োজন হয়েছিল বাসন্তী দেবীর। সে সময় নাকি নিজের ফিক্সড ডিপোজিট ভেঙে হাসপাতালের বিল মিটিয়েছিলেন তিনি। প্রথম দফায় ২ লক্ষ টাকা বিল হয়েছিল। টাকা ধার করে তা মেটান অভিনেত্রীর ড্রাইভার। বাড়ি ফেরার পর সেই টাকা শোধ করে দেন বাসন্তী চট্টোপাধ্যায়। তবুও এক ছেলে, এক মেয়ে কেউই নাকি এগিয়ে আসেননি। মাত্র এক দিন হাসপাতালে দেখতে গিয়েছিলেন অভিনেত্রীর ছেলে বৌমা এবং জামাই।
এবারেও নাকি বাসন্তী দেবীর প্রাক্তন ড্রাইভারই সমস্ত দায়দায়িত্ব পালন করছেন। চিকিৎসকদের সঙ্গে কথাবার্তাও বলছেন তিনিই। অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের উদ্যোগে সিনেটেলের তরফে বাসন্তী চট্টোপাধ্যায়ের মেয়ের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে তাঁর চিকিৎসা বাবদ ২৫ হাজার টাকা। শোনা গিয়েছে, এবারে নাকি নিয়মিতই তাঁকে হাসপাতালে দেখতে আসছেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রীর ছেলে বৌমা এবং জামাই।
জানা গিয়েছিল, অসুস্থতা সত্ত্বেও এক সপ্তাহ আগে ‘গীতা এলএলবি’ সিরিয়ালের শুটিং সেরেছিলেন বাসন্তী দেবী। তারপরেই হঠাৎ তাঁর শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হয়। তড়িঘড়ি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বর্ষীয়ান অভিনেত্রীকে। দু দুবার ক্যানসারকে হারিয়েছেন তিনি। কিন্তু রয়ে গিয়েছে একাধিক শারীরিক সমস্যা। হার্টে পেসমেকার বসানো রয়েছে তাঁর। কিডনির সমস্যাও রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। বন্ধ হয়ে গিয়েছে ইউরিন। শরীর ফুলে যাচ্ছে ক্রমশ। তবে বর্তমানে তাঁর জ্ঞান ফিরেছে। শারীরিক পরিস্থিতির ধীরে ধীরে উন্নতি হচ্ছে বলে খবর।