প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় (Prosenjit Chatterjee), টলিউড ইন্ডাস্ট্রির সর্বেসর্বা। দেখতে দেখতে ত্রিশ বছরেরও বেশি সময় কাটিয়ে ইন্ডাস্ট্রিতে নতুন রূপে ধরা দিয়েছেন তিনি। শুধু যে তাঁর ছবির ধরণ বদলেছে তাই নয়, নিজের ক্ষেত্রেও অনেকটা পরিবর্তন এনেছেন প্রসেনজিৎ। তাঁকে দেখে বোঝা দায় যে তিনি ইতিমধ্যেই ৬০ এ পা দিয়ে ফেলেছেন। এখনও ইন্ডাস্ট্রির তরুণ অভিনেতাদের টেক্কা দেওয়ার দম রাখেন প্রসেনজিৎ। সেই কারণেই একাধারে টলিউড এবং বলিউডেও দাপিয়ে বেড়াতে পারছেন তিনি।
টলিউডে গুঞ্জন রয়েছে, ফিটনেস এবং জৌলুস ধরে রাখতে প্রসেনজিৎ নাকি দই আর শসা খেয়ে থাকেন। আর কোনো খাবারই কি তিনি খান না? কারোর পক্ষে শুধুমাত্র কি দই শসা খেয়ে থাকা সম্ভব? এ বিষয়ে প্রসেনজিৎ স্পষ্ট ভাবেই মুখ খুলেছিলেন। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, সবার কেন মনে হয় যে তিনি শুধু দই খেয়েই থাকেন? মানুষ ভাবে যে প্রসেনজিতের ডায়েটে শুধু দই শসা থাকে। কিন্তু এটা ভ্রান্ত ধারণা। হ্যাঁ তিনি দই শসা খান ঠিকই, তবে এটা তাঁর একমাত্র খাবার নয়।
প্রসেনজিৎ বলেন, স্বাভাবিক ভাবে একজন মানুষ যা খেয়ে থাকেন যেমন ভাত, ডাল, শাক সবজি, মাছ সেসবই তিনিও খান। তবে প্রয়োজনের অতিরিক্ত খাবার তিনি খান না। সময় মেনে আর অল্প পরিমাণেই খাবার খান তিনি। আর খান প্রচুর পরিমাণে জল। কিছু সময় পরপরই তিনি জলপান করে থাকেন। প্রসেনজিৎ একবার জানিয়েছিলেন, তাঁর বাড়িতে প্রতিটি ঘরেই দু তিনটি করে জলের বোতল রাখা থাকে। তিনি যে ঘরেই ঢোকেন, সেখান থেকেই জল খেয়ে নেন। অভিনেতা জানিয়েছিলেন, ভারতীয় ক্রিকেট তারকা বিরাট কোহলির ফিটনেস রুটিন তিনি ফল করার চেষ্টা করেন।
পরিমিত আহার এবং প্রচুর পরিমাণে জল, এটাই প্রসেনজিতের ফিট থাকার মন্ত্র। এই বয়সে এসেও বিভিন্ন চরিত্রে মুগ্ধ করছেন তিনি। আগামীতে ‘দেবী চৌধুরানী’ ছবিতে উপন্যাসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র ভবানী পাঠক রূপে দেখা যাবে প্রসেনজিৎকে। পরনে গেরুয়া বসন, মাথায় পাগড়ির মতো করে জড়ানো লাল কাপড়ের ফেট্টি, কপালে লম্বা তিলক, মুখ ভর্তি দাড়ি গোঁফ, গলায় রুদ্রাক্ষের মালা, এমনই লুকে দেখা যাবে প্রসেনজিৎকে।
View this post on Instagram