বিনোদন জগতের সঙ্গে রাজনীতির (Politics) যোগসূত্র ইদানিং ক্রমেই দৃঢ় হয়ে উঠছে। বেশ অনেক বছর ধরেই অভিনেতা অভিনেত্রীদের পা রাখতে দেখা গিয়েছে রাজনৈতিক জগতে। জনতার দ্বারা নির্বাচিত হয়ে জনপ্রতিনিধিও হয়েছেন তারা। তবে ইদানিং যেন সংখ্যাটা বেড়েছে বহুগুণে। প্রায় প্রতিটি দলই নির্বাচনে তারকা প্রার্থীদের দাঁড় করিয়ে চমক দিতে চাইছে। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে যেমন তৃণমূলের সবথেকে বড় চমক হলেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় (Rachna Banerjee)। পর্দার দিদি নাম্বার ওয়ানকে ভোটে দাঁড় করিয়ে নিঃসন্দেহে একটি বড় চাল চেলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কিন্তু রচনার রাজনীতিতে প্রবেশ নিয়ে নানা মুনির নানা মত। অভিনয় অনেকদিন আগেই ছেড়েছেন তিনি। তবে তাঁর টেলিভিশন শো ‘দিদি নাম্বার ওয়ান’ এর সঞ্চালনার জোরেই সমস্ত দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছেন রচনা। গোটা রাজ্যের মানুষ তাঁকে চেনেন দিদি নাম্বার ওয়ান হিসেবে। এহেন রচনাই যখন হঠাৎ করে ঘাসফুল শিবিরে নাম লেখালেন তখন সেটা নিঃসন্দেহে সকলের কাছেই ছিল বড় সারপ্রাইজ। হুগলি লোকসভা কেন্দ্র থেকে ভোটে দাঁড়িয়েছেন রচনা। ইতিমধ্যেই প্রচার পর্বে তাঁর বিভিন্ন মন্তব্য নিয়ে শুরু হয়েছে ট্রোল, বিতর্ক।
এবার অভিনেত্রী শ্রুতি দাস মুখ খুললেন রচনাকে নিয়ে। ছোটপর্দার জনপ্রিয় মুখ শ্রুতি রচনার বেশ পরিচিত। একাধিক বার দিদি নাম্বার ওয়ানে এসেছেন তিনি, কখনো প্রতিযোগী হয়ে, আবার কখনো অতিথি হয়ে। এবার তাঁর রাজনীতিতে পা রাখা নিয়ে নিজের মত প্রকাশ করলেন শ্রুতি। সংবাদ মাধ্যমের তরফে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, অভিনেত্রীরা যে রাজনীতিতে আসছেন যাচ্ছেন, মিমি নুসরত এখন আর নেই। আবার নতুন করে রচনা এসেছেন।
শ্রুতি স্পষ্টই বলেন, মিমি নুসরতকে তিনি ব্যক্তিগত ভাবে চেনেন না। তাঁরাও শ্রুতি নামে কাউকে চেনেন না। আর তিনি শুধু তাঁদের জানেন সিনিয়র অভিনেত্রী হিসেবে। তাই তাঁদের খোঁজখবর তেমন রাখেন না তিনি। তবে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর প্রিয় একজন মানুষ বলে মন্তব্য করেন শ্রুতি। তিনি বলেন, রচনাদি যদি পারিপার্শ্বিক ভাবে প্রভাবিত না হয়ে যান, নিজের যে শক্তি, দৃঢ়তা সেটা এই জগতেও কাজে লাগান, তাহলে তিনি সাফল্য পাবেন বলেই মনে করেন শ্রুতি।
View this post on Instagram