whatsapp channel

‘সুপার সিঙ্গার’-এর মঞ্চে স্বীকৃতি পেলেন রূপান্তরকামী প্রতিযোগী, নিজেকে আবিষ্কার করলেন অন্বেষা

একবিংশ শতকেও ট্রান্সজেন্ডার বা রূপান্তরকামীদের হেনস্থার মুখোমুখি হতে হয় সমাজে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাঁদের অভিভাবকরা সন্তানের পরিচয় দিতে লজ্জা পান। এমনকি চাকরি ক্ষেত্রেও বিভিন্ন সমস্যা ও শৌচাগার জনিত সমস্যার সম্মুখীন হতে…

Avatar

Nilanjana Pande

Advertisements
Advertisements

একবিংশ শতকেও ট্রান্সজেন্ডার বা রূপান্তরকামীদের হেনস্থার মুখোমুখি হতে হয় সমাজে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাঁদের অভিভাবকরা সন্তানের পরিচয় দিতে লজ্জা পান। এমনকি চাকরি ক্ষেত্রেও বিভিন্ন সমস্যা ও শৌচাগার জনিত সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। তৃতীয় লিঙ্গের মানুষরা এখনও অবধি উপযুক্ত মর্যাদার লড়াই লড়ে চলেছেন প্রতিনিয়ত। এঁদের মধ্যে অন্যতম অন্বেষা (Anwesha)। বর্তমানে স্টার জলসার সিঙ্গিং রিয়েলিটি শো ‘সুপার সিঙ্গার’-এর চতুর্থ সিজনের মঞ্চে প্রথম রূপান্তরকামী সঙ্গীতশিল্পী হিসাবে অংশগ্রহণ করেছেন অন্বেষা। ত্রিশ বছর বয়সী অন্বেষা বাউল গানে যথেষ্ট পারদর্শী।

Advertisements

শৈশব থেকেই গান ও মিউজিকের প্রতি আগ্রহ রয়েছে অন্বেষার। ক্লাস ফাইভে পড়ার সময় গিটার শেখা শুরু করেছিলেন তিনি। গিটারের পাঁচ বছরের পরীক্ষা দেওয়ার পর রূপক ভট্টাচার্য (Rupak Bhattacharya)-র কাছে গান শিখতে শুরু করেন অন্বেষা। লোকসঙ্গীতের প্রতি সেই সময় থেকেই ভালোবাসা তৈরি হয় তাঁর। বাউলের আখড়ায় গিয়ে গান শোনার পাশাপাশি গান শিখতেও শুরু করেন অন্বেষা। তাঁর মতে, বাউলদের আখড়ায় নিজের উপলব্ধিগুলো মেলে ধরার সাহস পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু অন্বেষার যাত্রাপথ সহজ ছিল না।

Advertisements

পরিবারের তরফে এসেছিল প্রবল বাধা। অন্বেষার মা-বাবা ভাবতেন, তিনি রাস্তায় অর্থ উপার্জন করতে বেরোচ্ছেন। অন্বেষা কোনো উপযুক্ত কাজ করতে পারেন, ধারণা ছিল না তাঁদের। সেই কঠিন মুহূর্তে অন্বেষাকে সাহস যোগাত বাউলের আখড়া। গানের শো করতেন অন্বেষা। মূলতঃ কলকাতার বুকে অন্বেষা শো করলেও পরবর্তী কালে তাঁর হাতে কাজ অনেকটাই কমে যেতে থাকে। অনেকে কাজ দিতেও চাইতেন না। অর্থ উপার্জনের জন্য বিহারে হিন্দি গানের সাথে নাচ করতে হয়েছে অন্বেষাকে। সেখানে যথেষ্ট খারাপ অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছিলেন বলে জানালেন অন্বেষা।

Advertisements

তবে যোগ্য থেকে দক্ষ হওয়ার লড়াই তাঁর কাছে প্রতিনিয়ত সুন্দর। একসময় অন্বেষা ভাবতেন, রিয়েলিটি শোয়ে টাকা নেওয়া হয়। কিন্তু ‘সুপার সিঙ্গার’-এ এসে তাঁর ধারণা বদলে গিয়েছে। শোয়ের বিচারক মোনালি ঠাকুর (Monali Thakur), শান (Shaan), রূপম ইসলাম (Rupam Islam)-এর ব্যবহার তাঁকে মুগ্ধ করেছে। তবে শুধুমাত্র গান নয় উপার্জনের জন্য অন্বেষা কিছুদিন কল সেন্টারে কাজ করেছিলেন। এরপর যোগ দিয়েছিলেন ম্যান পাওয়ার সাপ্লাইয়ের কাজে। করেছেন বিজনেস কনসালট‍্যান্টের কাজও।

Advertisements

 

View this post on Instagram

 

A post shared by Star Jalsha (@starjalsha)

whatsapp logo
Advertisements