Sudipa Chatterjee: ‘ওরে ভালোবাসা কি কখনও কমে রে?’ কার জন্য আবেগপ্রবণ সুদীপা!
হঠাৎ করেই আবেগে ভাসছেন এই মুহূর্তের অন্যতম জনপ্রিয় সঞ্চালিকা সুদীপা চট্টোপাধ্যায়। সামনেই পুজো, মা আসছেন। চলতি মাসেই মহালয়া শুরু, অর্থাৎ দেবীপক্ষের আগমন। এরকম সময় অনেকেই আবেগে ভাসেন, বিশেষত যাদের বাড়িতে মায়ের পুজো হয়।
এবারে সোশ্যাল মিডিয়ায় মনের কথা লিখলেন রান্নাঘরের রাণী সুদীপা। কার জন্য লিখলেন সেকথা পরে আলোচনা করছি। কিন্তু, কী লিখলেন তিনি? একেবারে শেষে লিখেছেন, “ওরে ভালোবাসা কি কখনও কমে রে? বাড়ে.. আয়! এ বার দুজনে মিলে কাঁসর বাজাবো?”
শুরুতে রয়েছে একটি ছবি। সাথে রয়েছে স্মৃতিচারণ। প্রায় ৮/৯ বছর আগের গল্প তুলে ধরলেন সুদীপা। চলুন আরেকটু জানি। সোমনাথ বলে একটি বাচ্চার সঙ্গে আলাপ করিয়ে দিলেন। সুদীপা বলেছেন, “সোমনাথ আমাদের ঢাকি ভাইদের সাথে আসতো। কাঁসর বাজাবে বলে। কিন্তু, কাঁসর বাজানো ছাড়া- অন্য অনেক কিছু ওকে করতে হতো। যেমন অষ্টমীর আসরে- কবিতা বলা, আমার ভাইপো-ভাইঝিদের সাথে তাল মিলিয়ে দুষ্টুমি করা। মাইক্রোফোন ফাঁকা পেলেই- গান জুড়ে দেওয়া, আর কাঁসর লুকিয়ে রাখা। কিন্তু, সব কিছুতে বাড়ীর অন্য বাচ্চাদের মতো সুযোগ পেলেও- ‘কাসর’ বাজানো তার আর হতো না। হবে কি করে? আরেকজন কাঁসর ধরে যদি টানাটানি করে- আর সে যদি হয়,গৃহকর্ত্রী,তাহলে তার ওজর আপত্তি কি টেঁকে?
সোমনাথ হাসিমুখে আমার হাতে কাঁসর দিয়ে দিতো। কেননা,তখন তো আমার আর ওর মনের বয়সের খুব বেশি ফারাক থাকতো না। শেষবার আমাকে এভাবেই জড়িয়ে ধরে বলে গেছিলো-“তুমি তোমার নিজের কাঁসর কিনে রাখতে পারো না?” তারপর সোমনাথ আর আসেনা। এক তো পড়াশনার চাপ,তার ওপর ওর নাকি ভীষন লজ্জা করে এখন।
সোমনাথ পড়াশনায় ভয়ঙ্কর রকমের ভালো। দারুন বললেও- কম বলা হয়। জানিনা,এবার ওর লজ্জা ভাঙবে কিনা। তবে,আমি এখন আরও ৪’টে কাঁসর কিনে নিয়েছি। এবার থেকে নো কাড়াকাড়ি। Only ট্যাং ট্যাটাং,ট্যাং ট্যাটাং…. পুজোর আর মাত্র ৩৮ দিন বাকি। দ্যাখ সোমনাথ! আমি প্রকাশ্য বলছি-“তোর কাঁসর আমি আর কেড়ে নেবো না। আয় না রে সোনা? কতদিন তোকে দেখিনি!”
(আদি হবার পর ওর ধারনা ওর প্রতি আমার ভালোবাসা নাকি কমে গ্যাছে..)”
প্রসঙ্গত, পরিচালক তথা প্রযোজক অগ্নিদেব চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে প্রতিবার ধূমধাম করে মায়ের পুজো হয়। এবারেও হবে। এই সোমনাথ এখন বড় হয়ে গিয়েছে। একটা সময় সুদীপার বাড়িতে আসতেন। সেই পুরোনো স্মৃতি উস্কে ফের সোমনাথকে নিমন্ত্রণ জানিয়ে দিলেন এমন গ্র্যান্ড ভাবে।