Mountain Trip: চারধাম বেড়াতে যাওয়ার প্ল্যান করছেন? এই কারণে এক্ষুনি ক্যানসেল করে দিন
এবারে কলকাতায় যা গরম পড়েছিল সেই সময়টা কিন্তু বেড়াতে যাওয়ার জন্য মানুষের প্রথম ডেস্টিনেশন ছিল পাহাড়। পাহাড়ে গিয়ে ঠান্ডায় একটু কয়েকটা দিন সময় কাটিয়ে আসার জন্য একমাত্র লক্ষ দীঘা, পুরী না গিয়ে মানুষ বেছে নিয়েছেন পাহাড়কে। এত পরিমান যাত্রীরা যখন পাহাড়ে যাচ্ছেন, সেখানে গিয়ে পাহাড়ের স্বাভাবিক পরিবেশ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এছাড়াও রয়েছে ট্রাফিক জ্যামের সমস্যা। এমনটাই জানাচ্ছেন, সেখানকার মানুষ এবং পরিবেশবিদরা কারণ এত বেশি হোটেল এত কিছু গড়ে উঠছে, যা কিন্তু পাহাড়ের বাস্তুতন্ত্র বা পাহাড়ের জলবায়ুর যে পরিবেশ তাকে একেবারেই নষ্ট করে ফেলছে।
কিন্তু এর ফলে ভ্রমণ যাত্রীরা মহা সমস্যায় পরেছেন। যারা বেড়াতে ভালোবাসেন তারা বেড়াতে না গিয়ে তো থাকতেই পারছে না, উপরন্ত পাহাড়ে যাওয়ায় যদি কোন ভাবে নিষেধাজ্ঞা তৈরি হয়ে যায়, সেক্ষেত্রে ভ্রমণে যারা ভালোবাসেন তাদের ক্ষেত্রে কিন্তু খুবই দুঃসংবাদ। জীবনে একবার অন্তত চার ধাম বেড়াতে যাওয়ার জন্য যারা অপেক্ষা করে থাকেন অনেকেই কিন্তু এবছর প্রায় ২৬ লক্ষ তীর্থযাত্রী এই যাত্রার জন্য নিজেদের নাম নথিভুক্ত করেছেন, আর দীর্ঘযাত্রা কখনোই একসঙ্গে বেশি সংখ্যার দর্শনার্থীকে নিতে পারেনা।
এত বেশি সংখ্যক যাত্রী যাওয়ার জন্য গঙ্গোত্রী, যমুনোত্রী হাইওয়েতে প্রচন্ড পরিমানে ট্রাফিকের সমস্যা দেখা দিয়েছে, ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে যাত্রীদের। রাস্তাতে ফলে অনেকেই রীতি মতন রেগে লাল হয়ে গিয়ে প্রতিবাদ করছেন। অনেকে তো আবার এত ট্রাফিক যানজটকে সহ্য করতে না পেরে মাঝ রাস্তা অর্থাৎ যমুনোত্রী থেকে ফিরে আসতে বাধ্য করছেন। অতিরিক্ত যাত্রী জন্য যানজটের পাশাপাশি আর একটা সমস্যাও এখানে বিক্ষোভ সমস্যার সৃষ্টি করেছে যাত্রীদের জন্য।
যেখানে দেখা যাচ্ছে, রাস্তার পাশে আবার রাস্তা নির্মাণেরও কাজ চলছে, যার জন্য যাত্রীদের যাতায়াতের বিভিন্ন সমস্যা তৈরি হয়েছে। তার জন্য যাত্রীরা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে রীতি মতন বিক্ষোভে নামতে বাধ্য হয়েছেন। যদি কেদারনাথ বা চার ধাম বেড়াতে যাওয়ার কোন প্ল্যান এই মুহূর্তে করে থাকেন, তাহলে এক্ষুনি সেটা ক্যান্সেল করে দিন, সেখানে গিয়ে দুর্ভোগের শেষ থাকবে না, আর যদি পরিবারে কোন বয়স্ক মানুষ বা ছোট বাচ্চাকে নিয়ে যাওয়ার প্ল্যান করেন, তাহলে তো সেটা এক্ষুনি ক্যান্সেল করে দিন।